বিবিসির পর দিল্লির রোষে নিউইয়র্ক টাইমস

দিল্লি,  ১০ মার্চ– এবার দিল্লির রোষে পড়েছে মার্কিন সংবাদপত্র দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। বিবিসির পর নরেন্দ্র মোদি সরকারের রোষের মুখে এই  বিদেশি সংবাদমাধ্যম।

ওই সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে জম্মু-কাশ্নীরে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বিপন্ন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সেই নিবন্ধকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আক্রমণ শানিয়েছেন মোদী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর । মন্ত্রী শুক্রবার একাধিক টুইটে ভারত সরকারের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধটি লিখেছেন ‘দ্য কাশ্মীর টাইমস’-এর সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন। তিনি অনেক দিন ধরেই উপত্যকায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার নিয়ে সরব।

২০১৯-এ ভারত সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয়। তারপর থেকে কাশ্মীরের জনজীবন এবং সংবাদমাধ্যমের উপর সরকারি প্রতিরোধ চাপানো হয়েছে বলে মনে করেন এই সাংবাদিক। সেকথা বিদেশি সংবাদপত্রে প্রকাশিত নিবন্ধে লিখেছেন তিনি।

কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ টুইটে অভিযোগ করেছেন, নিউইয়র্ক টাইমস অনেক আগেই বিশ্বাসযোগ্যতা বিসর্জন দিয়েছে। বিশ্ব দরবারে ভারত কালিমালিপ্ত করতেই এই ধরনের নিবন্ধ ছাপা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্র সম্পর্কেও একই অভিযোগ করা হয়েছিল ভারত সরকারের তরফে। বিবিসি ভারত বিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত বলেও শাসক শিবির থেকে বলা হয়। আদানিদের বিরুদ্ধে শেয়ার মূল জালিয়াতির অভিযোগ তুলে প্রকাশিত মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট সম্পর্কেও একই প্রতিক্রিয়া ছিল গেরুয়া শিবিরের।