সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় দরকার বিশ্বব্যাপী আইনি পরিকাঠামো; নরেন্দ্র মোদি 

দিল্লি, ২৩ সেপ্টেম্বর – রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে ভাষার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ , আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সম্মেলনে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  পাশাপাশি তিনি বলেন, ভারতের সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় দরকার বিশ্বব্যাপী আইনি পরিকাঠামো। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশ করতে হলে দরকার নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা গড়ে তোলা, এমনই আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  । 

এদিন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ‘ইন্টারন্যাশনাল ল ইয়ার্স কনফারেন্স ২০২৩’-এ বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”আমার আশা এই ধরনের সমাবেশ থেকে আমরা একে অপরের থেকে শিখতে পারব। সে সাইবার সন্ত্রাস হোক কিংবা অর্থ তছরুপ অথবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার, এর মোকাবিলায় প্রয়োজন বিশ্বব্যাপী আইনি পরিকাঠামোর। কোনও নির্দিষ্ট সরকার এমনটা করবে। সাধারণ আইন ও পরিকাঠামো তৈরি করা দরকার। যার সাহায্যে আমরা বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারব।”
 

সরাসরি নাম না করেও মোদি যে চিন-পাকিস্তানকে বিঁধেছেন তাতে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞ মহল। সাম্প্রতিককালে বারবার পাকিস্তানের বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদীকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ তকমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চিন। অন্যদিকে প্রায় ১৫ বছর পরেও সাজা দেওয়া যায়নি মুম্বই হামলার মূল চক্রীদের। তাদের নিরাপদে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ‘জঙ্গিদের চারণভূমি’ হয়ে ওঠা পাকিস্তানের।

মোদি এদিন বলেন, ভারত সরকার মনে করে , আইনের খসড়া তৈরিতে দুটি ধাপ থাকা উচিত। প্রথমত, যে ভাষায় যোগাযোগ করতে কেউ স্বচ্ছন্দ্য বোধ করে সেই ভাষাতেই আইনের একটি প্রাথমিক খসড়া হওয়া উচিত। দ্বিতীয় খসড়াটি দেশের আমজনতা বুঝতে পারে এমনভাবে হওয়া উচিত। এর ফলে আইনকে আর ‘বোধগম্য নয়’ , এমন মনে হবে না। 


মোদির বক্তব্যে বোঝা যায়, কেন্দ্রীয় সরকার চায়, একটি আইন পূর্ণাঙ্গ রূপ পাওয়ার আগে প্রথমে আঞ্চলিক ভাষায় লেখা হোক , পরে তা অনুবাদ করা হোক হিন্দি ও ইংরিজিতে। এই সময় শীর্ষ আদালতের নাম করার সময় প্রধানমন্ত্রী ‘ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ‘ বলে উল্লেখ করেন।