রানী নয় রাজকন্যাই বিজেপির নতুন অস্ত্র মরুরাজ্যে

রাজস্থানে বাদ পড়লেন বসুন্ধরা
জয়পুর, ১০ অক্টোবর– সোমবার রাতে রাজস্থান বিধানসভার জন্য দলের প্রথম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি৷ আর এই তালিকা প্রকাশ হতেই সবচেয়ে আলোচনা হচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়াকে নিয়ে৷ তাঁর নামই নেই প্রথম তালিকায়৷ তাঁকে টিকিট দেওয়া হবে কি না, তা নিয়েই সংশয় আছে দলে৷
মধ্যপ্রদেশের মতো রাজস্থানেও বিজেপি সাংসদদের প্রার্থী করবে এমনটাই জল্পনা ছিল৷ দেখা গেল সেই জল্পনাই সত্যি৷  প্রথম তালিকায় ৪১ প্রার্থীর মধ্যে সাতজন এমপির নাম আছে৷ তাঁদের ছয়জন লোকসভার সাংসদ৷ এছাড়া প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরের নাম রয়েছে তালিকায়৷ কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকে প্রার্থী করা হবে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতের বিরুদ্ধে, আগেই আভাস দিয়েছে দল৷ মধ্যপ্রদেশে দলের প্রথম দুই তালিকায় সাত সাংসদ ও তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম রয়েছে৷ বিজেপি সোমবার ছত্তীসগডে়রও প্রথম তালিকা প্রকাশ করেছে৷ সেখানেও প্রার্থী তালিকায় কয়েকজন হেভিওয়েট সাংসদের নাম আছে৷
একসময়ে বাজপেয়ী, আদবানীদের সময়ে রাজস্থানে বসে দিল্লির নেতৃত্বকে নিজের ইচ্ছামতো চালিত করতে পারলেও বসুন্ধরা শত চেষ্টা করেও নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহদের কাছে ঘেঁষতে পারেননি৷ এবার রানী নানাভাবে চেষ্টা করছেন বিধানসভা ভোটে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ করা হোক৷ কিন্ত্ত বাধ সেধেছে তাঁর বয়েস৷ সত্তোরোর্ধ্ব প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না মোদি-শাহ-নাড্ডা জুটি, এমনটাই মরুরাজ্যের পদ্ম শিবিরের খবর৷
তবে দলের এই সিদ্ধান্তকে পাত্তা না দিয়ে রানী সাহেবা অবশ্য নিজের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে গত সপ্তাহে একাই রাজ্যের নানা জায়গায় সভা করে সোশ্যাল মিডিয়া ছবি দিয়েছেন৷ বলেছেন, রাজস্থানের মানুষ ফের আমাকে সেবা করার সুযোগ দিতে চান, জনসভার ভিড় সেকথাই প্রমাণ করে৷ এই পরিস্থিতির মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে রাজসমন্দ কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ রাজকন্যা দিয়া কুমারীকে নিয়ে৷
রাজ্যে মোদি-শাহ-নাড্ডার জনসভার আয়োজকদের মধ্যে নজর কাড়া তৎপরতা লক্ষ্য করা গিয়েছে বিজেপির এই সাংসদের৷ সোমবার তাঁকে নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে উঠেছে প্রার্থী তালিকায় নাম থাকায়৷ বিধানসভা নির্বাচনে জয়পুরের বিদ্যানগর আসন থেকে লড়াই করবেন তিনি৷ দিয়াও এক রাজ পরিবারের সদস্য৷ জয়পুরের মহারাজা দ্বিতীয় মানসিংহের নাতনি ৫২ বছর বয়সি দিয়া আগে বিধায়ক ছিলেন৷ ২০১৯-এ লোকসভায় লড়াই করে জিতে যান৷ মোদি-শাহের ইচ্ছায় মরুরাজ্যে পদ্ম শিবিরে তিনিই বসুন্ধরার জায়গা নিতে পারেন, এমনটাই জল্পনা দলে৷ রাজস্থানে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলেও বিজেপির মতো তারাও কাউকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরছে না৷ অলিখিতভাবে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে বিবেচনায় আছেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট৷ বছর ছেচোল্লিশের শচীনের বিপরীতে দিয়ার নাম ভাসিয়ে রাখার কৌশল নিয়ে এগচ্ছে বিজেপি, এমনটাও মনে করছে দলের একাংশ৷