মোদি সরকারের দুই প্রকল্পে অনিয়ম সিএজি-র রিপোর্টের পর ৩ আধিকারিককে বদলি, দাবি কংগ্রেসের   

দিল্লি, ১২ অক্টোবর – আয়ুষ্মান ভারত এবং দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়ম হয়েছে বলে রিপোর্ট করেছে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। তিন আধিকারিকের নেতৃত্বে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এই দুই প্রকল্পের অনিয়ম সামনে এসেছে। ইন্ডিয়ান অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস সার্ভিসের ওই পদস্থ আধিকারিকদের বুধবার অন্যত্র বদলি করে দিয়েছে সরকার, এমনটাই দাবি কংগ্রেসের ।  ‘মোদি  সরকারের মাফিয়া স্টাইল’ বলে বর্ণনা করে কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

কেন্দ্রের সড়ক পরিবহণমন্ত্রক তৈরি করেছে দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে । এই প্রকল্পে  ১৪০০ শতাংশ অতিরিক্ত খরচ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিএজি। অন্যদিকে, আয়ুষ্মান ভারত বিমা প্রকল্পে কয়েক লাখ ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির নামে ক্ষতিপূরণের অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছে সিএজি। সেই সঙ্গে তারা জানতে পারে একটি টেলিফোন নম্বরে সাড়ে সাত লাখ মানুষের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। 

সরকারি দফতরের আয়-ব্যয়, হিসাব এবং প্রকল্পে নিয়মকানুন অনুসরণের বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে সিএজি। এই সংস্থার তোলা প্রশ্নের জবাব সংসদে দিতে বাধ্য সরকার। ২০১১-১২ সালে তৎকালীন মনমোহন সিং সরকারের বিরুদ্ধেও একাধিক বিস্ফোরক রিপোর্ট দিয়েছিল সিএজি। তৎকালীন সিএজি বিনোদ রাই দাবি করেছিলেন, কয়লা খনি লিজ দেওয়াতে অনিয়মে এক লাখ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে সরকারের। আরও কিছু প্রকল্পেও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিল সিএজি।  যদিও পরবর্তীকালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এক মামলায় সিএজি’র ওই রিপোর্টকে নসাৎ করে দেয়। সিএজি রিপোর্ট হাতিয়ার করে ২০১৪-র লোকসভা ভোট জেতেন নরেন্দ্র মোদি । 


কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সিএজি’র গুরুত্ব কমিয়ে দিয়েছেন। এখন অনিয়ম ধরা আধিকারিকদের বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের বক্তব্য, ‘সিএজি রিপোর্টে পরিকাঠামো এবং সামাজিক স্কিমে অনিয়ম আছে। এখন, আয়ুষ্মান ভারত এবং দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে কেলেঙ্কারির রিপোর্ট করার দায়িত্বে থাকা তিন সিএজি অফিসারকে মোদি  সরকার দুর্নীতি আড়াল করতে বদলি করে দিয়েছে।’ 

কংগ্রেসের দাবি, সিএজি একটি স্বাধীন সংস্থা। অবিলম্বে বদলির আদেশ বাতিল করা হোক। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের দাবি, সিএজি উত্থাপিত অভিযোগের জবাব দিক সরকার। একই দাবি জানিয়েছে আম আদমি পার্টিও ।