তুরস্কে মৃত্যু সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়াল

৬ ফেব্রুয়ারি, গত সোমবার,  ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে ৫  থেকে ৬ মিটার স্থানচ্যুতি ঘটলো তুরস্কের।ইটালিয়ান সিসমোলজিস্ট তথা গবেষক কার্লো ডগলিওনি জানান, ভূমিকম্পের জেরে তুরস্ক যে টেকটনিক প্লেটের উপরে অবস্থিত, তা প্রায় ৩ ফুট বা ১০ মিটার মতো সরে গেছে। এদিকে ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে ।

সিসমোলজিস্ট কার্লো ডগলিওনি জানান, ভূমিকম্পের জেরে যে ক্ষতি হয়েছে, তাকে সিসমোলজির ভাষায় “শ্যালো ট্রান্সকারেন্ট” বলা হয়। অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠের গভীরে প্লেটে ভাঙন ধরেছে। প্রাথমিকভাবে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে অনুমান করা হচ্ছে এর জেরে সিরিয়ার তুলনায় তুরস্ক পশ্চিমদিকে ৫ থেকে ৬ মিটার সরে গেছে।

ভূমিকম্পের জেরে কী কী ক্ষতি হতে পারে, তার জবাব দিয়ে গবেষক কার্লো ডগলিওনি বলেন, “১৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ২৫ কিলোমিটার চওড়া এলাকা জুড়ে ভয়ঙ্করভাবে কম্পন হয়েছে। নয় ঘণ্টার মধ্যে দু’বার কম্পন চরম সীমায় পৌঁছেছিল। এখনও মাটিতে কম্পন হচ্ছে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ৫ থেকে ৬ ছিল। পরে আরও আফটারশক  হয়েছে।” তিনি বলেছেন, “আরব প্লেটের দিকে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে তুরস্কের ভূখণ্ড। ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে এই অঞ্চলটি।”


পাল্লা দিয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে সিরিয়া ও তুরস্কে। সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে।  প্রবল শীত ও বৃষ্টির মধ্যে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। তবে ভূতত্ত্বের দিক থেকে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্ক। বিশ্বে সকল দেশের তরফে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত দুই দেশের দিকে। ইতিমধ্যেই ছ’টি বিমান পাঠানো হয়েছে ভারতের তরফে। তিনি বলেছেন, “আরব প্লেটের দিকে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে তুরস্কের ভূখণ্ড। ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে এই অঞ্চলটি।”

সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রবল শীত ও বৃষ্টির মধ্যে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ।বিশ্বে সকল দেশের তরফে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত দুই দেশের দিকে। ইতিমধ্যেই ছ’টি বিমান পাঠানো হয়েছে ভারতের তরফে।