দুর্নীতি-পরিবারবাদ- তোষণ-ভ্রষ্টাচার-ইন্ডিয়া ছাড়ো’, বিরোধী জোটের উদ্দেশে তোপ মোদির 

দিল্লি, ৭ আগস্ট –  অমৃত ভারত স্টেশন স্কিম প্রকল্পে দেশের ৫০৮ টি স্টেশনের পুনর্গঠন করবে ভারতীয় রেল। যার মধ্যে রয়েছে বাংলার ৩৭টি স্টেশন। রবিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই অনষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী জোটকেও বিঁধতে ভুললেন না তিনি। রেলের এই অনুষ্ঠানে মোদি আগস্ট মাসের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে মহাত্মা গান্ধির ‘ভারত ছাড়ো আন্দোলন’-এর কথা বলেন। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন,” ‘কুইট ইন্ডিয়া’ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে দেশবাসী এখন বলছে , দুর্নীতি- ইন্ডিয়া ছাড়ো, পরিবারবাদ-ইন্ডিয়া ছাড়ো, ভ্রষ্টাচার-ইন্ডিয়া ছাড়ো, তোষণ-ইন্ডিয়া ছাড়ো। ” এরই পাশাপাশি বিরোধী জোটের কর্ম-সংস্কৃতি নিয়েও কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  

 
সামনেই লোকসভা ভোট। বিরোধী পক্ষ নিজেদের শিবির গোছাতে শুরু করেছে। বিরোধী জোটের নাম যে ‘ইন্ডিয়া’, তা ইতিমধ্যেই ঘোষিত।  এই পরিস্থিতিতে বিরোধী জোটকে আক্রমণ করতে  ছাড়লেন না প্রধানমন্ত্রী । এদিন ‘অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প’ উদ্বোধনে  বিরোধীদের নিয়ে নাম না করে ‘কুইট ইন্ডিয়া’ প্রসঙ্গ তুলে তোপ দাগেন তিনি । মো্দি বলেন, ‘ভারত ছাড়ো আন্দোলন দেখে দেশবাসী উৎসাহিত হয়ে বলছে, দুর্নীতি, তোষণ, পরিবারবাদ, ভারত ছাড়ো।’  বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে মোদি বলেন, ‘ওঁরা নিজেরা কাজ করতে চাননা, আর কাউকে কাজ করতে দিতে চান না।’ তিনি বলেন, ‘দেশে নেতিবাচক রাজনীতি করছে বিরোধীরা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, প্রধানমন্ত্রী বিরোধী ইন্ডিয়া জোটকেই আক্রমণের নিশানা করেন ।   
দেশের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৫০৮টি স্টেশনকে ‘অমৃত ভারত স্টেশন’ হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে।  এই স্টেশনগুলি হবে ‘ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার প্রতীক’, এমনটাই বলেন প্রধানমন্ত্রী।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ভারতের সম্মান এখন অনেক বেড়েছে। তিন দশক পর দেশের মানুষ পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে একটি দলকে বেছে নিয়ে দায়িত্ব দিয়েছে।” তাঁর দাবি, এতকিছুর পরও রাজনীতির ঊর্দ্ধে উঠে উন্নয়ন করছে মোদি সরকার । তিনি জানান, কোন রাজ্যে কোন দল ক্ষমতায় রয়েছে, কার ভোটব্যাঙ্ক কত, এসব না দেখেই সব রাজ্যের উন্নয়নের কথা ভেবেছে কেন্দ্রীয় সরকার । 
  
আগামী মঙ্গলবার লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা  বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র। মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল হয় সংসদ। বিরোধীরা মণিপুর নিয়ে মোদির ব্যাখ্যা দাবি করে। কিন্তু মোদি বাইরে এ নিয়ে কথা বললেও সংসদে এ মণিপুর নিয়ে কোনও আলোচনা করেননি। মণিপুর নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে বক্তব্য পেশ করানোর জন্যই বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা করেন। মঙ্গলবার সেই প্রস্তাব আনার আগেই রবিবার বিরোধীদের উদ্দেশে আক্রমণ করলেন মোদি।