জীবন বিজ্ঞানে সাফল্য লাভ করার টিপস

১) প্রথমেই ২০২৬ এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সাফল্য লাভের শুভকামনা জানাচ্ছি। মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রতি বিষয়ে ভালো নম্বর  খুব ভালো করে সেই বিষয়টির পর্ষদ নির্ধারিত সিলেবাসটি কে বুঝে নিতে হবে। টেক্সটবুকের প্রথমেই চ্যাপটার ওয়াইজ সিলেবাসটি মুদ্রিত করা থাকে। দ্বিতীয়ত, প্রতি অধ্যায় থেকে কত মার্কসের কি ধরনের প্রশ্ন থাকবে, তাও পরিষ্কার করে বুঝে নিতে হবে। সেই অনুযায়ী সেই অধ্যায়টিকে পড়তে হবে।

২) এখন থেকে তোমাদের টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত প্রতিটি অধ্যায়ের শেষে অনুশীলনীতে যে প্রশ্নগুলি দেওয়া আছে, অধ্যায়টি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার উত্তরগুলিও তৈরি করতে হবে। হাতের কাছে যে টেস্ট পেপার আছে সেখান থেকেও ওই অধ্যায় থেকে কি কি প্রশ্ন এসেছে সেগুলিও দেখে নিয়ে তার উত্তর তৈরি করা একান্তই প্রয়োজন।

৩) মনে রাখবে, কোন একটি অধ্যায় পড়ার সময়, তোমার মনেও যেন ওই অধ্যায় থেকে পর্ষদের মান অনুযায়ী প্রশ্ন তৈরি হয়। তার উত্তরও একইসঙ্গে তুমি বের করবে।


৪) জীবন বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে টেক্সটবুকের প্রায় প্রতিটি বাক্যেই প্রাসঙ্গিক ইনফরমেশন দেওয়া থাকে। পড়ার সময় তুমি একটা পেন্সিলের সাহায্যে সেই ইনফরমেশন গুলিতে আন্ডারলাইন করবে। ভালোমতো প্রেপারেশন হয়ে গেলে, তুমি এরপর দেখবে ওই ইনফরমেশনগুলোতে চোখ বুলালেই প্রশ্ন এবং তার উত্তর তোমার মনের মধ্যে চলে আসবে।

৫) জীবন বিজ্ঞানে বহু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে,উদাহরণ তোমার জানা থাকলে অবশ্যই দেবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন দুনম্বরের প্রশ্ন তিন নম্বরের প্রশ্ন, কোন ড্রয়িং করার কথা, প্রশ্নে না থাকলেও তুমি জানলে একটা সহজ বিজ্ঞানসম্মত ড্রইং করে দেবে। এতে তোমার উত্তর আকর্ষণীয় হবে, কোন সন্দেহ নেই।

৬) তবে খেয়াল রাখবে, কোন ড্রইং যেন ক্যাপশন বা লেবেলিং ছাড়া না হয়। বাড়িতে জীবন বিজ্ঞান পড়ার সময় যেহেতু খুঁটিয়ে পড়তে হয় তাই একাগ্রতার সঙ্গে পড়তে হবে। মনসংযোগের ঘাটতি থাকলে অনেক তথ্য, যা মাথায় ধরে রাখা প্রয়োজন, সেগুলিও ঠিক ঠিক ধরে রাখা যাবেনা।

৭) যেহেতু মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো মার্কস পেতে হয়, তাই এমন যেন না হয় যে, একদিন খুব ভালো করে পড়লাম তারপর বেশ কয়েকদিন আর জীবন বিজ্ঞান পড়লাম না। তাহলে কিন্তু ভালো করে যা পড়েছ সেগুলি পুনরায় ভুলে যাবে। তাই নিয়মিতভাবেই জীবন বিজ্ঞান কে পড়তে হবে। অন্যান্য বিষয়গুলির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। মনে রাখবে, সাফল্যের কোন শর্টকাট রাস্তা বা কোন মেড ইজি রাস্তা নেই, নিয়মিত অনুশীলন করলে, তবেই ভালো মার্কস পাওয়া যায়।

৮) টেস্ট পেপার ছাড়াও কিছু সহায়িকা বই যা তোমার পক্ষে সংগ্রহ করা সম্ভব সেগুলি থেকেও MCQ বা বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় প্রশ্নের ধরন, তোমরা দেখে নিতে পারো। এমনকি কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তরও টেক্সটবই ছাড়া ওখান থেকেও পড়ে নিতে পারো।

৯) কিছু কিছু ভালো সংস্থা আজকাল মক টেস্টের আয়োজন করে। যদি এরকম কিছু তোমার জানা থাকে, তাহলে সেই মক টেস্ট গুলি তুমি দেবে। এতে তোমার পারফেকশন ভালো হবে,ভুল ত্রুটি কম হবে। ফলে তোমার কনফিডেন্সও বাড়বে কারণ এখানে ডাউট ক্লিয়ারিং এরও ব্যবস্থা থাকে। এই মক টেস্টগুলিতে তোমার পরিচিত যারা খুব ভালো মার্কস পায় তাদের উত্তরপত্র তুমি খুঁটিয়ে দেখো বোঝার চেষ্টা করো কেন তারা ভালো মার্কস পেয়েছে। এতেও তোমার অনেক লাভ হবে।

১০) সবশেষে বলি, জীবন বিজ্ঞান একটি খুব ইন্টারেস্টিং সাবজেক্ট। এখানে খুব ভালো মার্কস পাওয়া বা ফুল মার্কস পাওয়া কোন কষ্টকর ব্যাপার নয়। শুধু প্রয়োজন ভালো করে অনুশীলন করা, উদাহরণগুলিকে মনে রাখা, বাড়িতে ড্রয়িং প্র্যাকটিস করা এবং নিজের মনে প্রশ্ন তৈরি করা ও প্রতিটি অধ্যায়ের প্রশ্ন গুলির উত্তর নিখুঁতভাবে তৈরি করা। এভাবেই তৈরি কর। দেখবে, সাফল্য তোমার খুব সহজেই করায়ত্ব হবে।