ভোট ময়দানে লেলানো ধর্মসাপ আদতে ফ্রাঙ্কেনস্টাইন

প্রতীকী চিত্র

সুবীর পাল

‘গুলাম থে তো হাম সব হিন্দুস্থানী থে, আজাদী নে হামকো হিন্দু মুসলমান বনা দিয়া।’ এই নিদারুণ আক্ষেপটা ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ও কবি গুলজারের। এই আক্ষেপের তীব্র অনুররণ আজ যেন বাংলার পরম্পরা ঐতিহ্যের অহংকারে সিঁদুরে মেঘ হয়ে দেখা দিয়েছে অনেকটা অক্টোপাসের কামড়ের মতো। প্রকৃতই বাংলার ভাগ্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা, কে তাঁকে আশা দেবে? কে তাঁকে ভরসা দেবে?

এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে স্থবির হয়ে যেতে হয় আমাদের। অর্থাৎ সমগ্র বাংলাবাসীকে। নিজেদের বিবেককে পাল্টা প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে তখন, এটাই কি বিবেকানন্দের বাংলা? এটাই কি রবীন্দ্রনাথের বাংলা? এটাই কি নজরুলের বাংলা? এটাই কি টেরেসার বাংলা? নাকি এই বাংলা শুভেন্দু অধিকারীর বাংলা? নাকি এই বাংলা হুমায়ুন কবীরের বাংলা? কি তার জবাব দেবে যদি বলি আমি কি হেরেছি? তুমিও কি একটুও হারোনি? বাংলার আপমর সম্প্রীতি মনষ্ক মানুষ বলতে, না আমরা আজও হারিনি। কারণ আমরা শান্তি প্রিয় ধর্ম নিরপেক্ষ সাধারণ মানুষ বা আ মরি বাংলার সিংহভাগ ভোটদাতা। আমরা আজও হারিনি ঠিকই। কিন্তু একইসঙ্গে চিন্তিতও। আর তুমি তো সেই কবেই হেরে বসে আছো। তাই খড়কুটো ধরার মতো ধর্মকে আশ্রয় করেই ভোট বৈতরণী পারাপার করতে এতোই উদগ্রীব। কোথায় তোমাদের কর্ম সংস্থানের স্বরলিপি। কোথায় তোমাদের নারী সুরক্ষার ব্যঞ্জনবর্ণ? কোথায় তোমাদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিষয়ক কতকথা? তোমাদের আস্তিনে লুকিয়ে থাকা ধর্মীয় বিষধর সাপ আজ প্রকাশ্যে এনে ছেড়ে দিয়েছো এই বাংলার আপাদমস্তক কলেবরে। ইচ্ছাকৃত ভাবে। পরিকল্পিত ভাবে। আগামী বিধানসভা ভোটে বিজয়ী হতে। ক্ষমতার মধু শোষণ করার মোক্ষে।


আর মাত্র এক বছর বাকি রয়েছে রাজ্যে বিধানসভা ভোট সুচিত হবে। এরই মধ্যে যে রাজনৈতিক বাতাবরণ তৈরি হয়েছে তাতে ‘ধর্মীয় তাসের খেলা হবে’ যেন প্রধানতম উপজীব্য হয়ে উঠেছে রাজ্যের ভোট রাজনীতির প্রতিটি জনপদে। স্বাধীনোত্তর পশ্চিমবাংলায় এমন ভয়ঙ্কর সরাসরি ও নির্লজ্জ খুল্লামখুল্লা ধর্মীয় মেরুকরণ যুক্ত প্রবণতা এই প্রথমবার ভোটে যে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ইস্যু হতে চলেছে তার নজিরের পূর্বাভাস ইতিমধ্যেই মিলতে শুরু করেছে।

রাজ্যে এই মুহূর্তে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার আসনে আসীন রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সংসদীয় রাজনীতিতে তো বটেই রাজ্যের সামগ্রিক রাজনৈতিক আঙ্গিকেও বিরোধী দলনেতার গুরুত্ব, মর্যাদা ও সম্মান একটা পৃথক পরিধি তৈরি করে দেয়। আর এই পদে বসে শুভেন্দু অধিকারী কি বললেন? সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ‘আগে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাবো। বিজেপি সরকারে আসবে। ওদের দলের যে কটা মুসলমান এমএলএ জিতে আসবে তাদের চ্যাংদোলা করে তুলে রাস্তায় ফেলবো।’ ভাবতে পারা যায় এটা হলো রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মুখ নিঃসৃত বক্তব্য। স্বাধীনতা প্রাপ্তির পরবর্তী সময়ে বাংলার রাজনীতিতে অতীতের কোনও বিরোধী দলনেতার মুখে এমন ভাষণ কি পশ্চিমবঙ্গবাসী শুনেছেন? হলফ করে বলতে পারি, না এহেন কদর্য বক্তব্য এই প্রথম ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে অধুনা বঙ্গ রাজনীতিতে।

তবে কি শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য পরিপূর্ণ আবেগ তাড়িত এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার একটা স্লিপ অফ ট্যাং’এর প্রতিফলন মাত্র? একদমই নয়। তাহলে তো তিনি এমন মারাত্মক বক্তব্য অনায়াসেই প্রত্যাহার করে নিতে পারতেন। কিন্তু সেই পথে তিনি হাঁটেননি। বরং সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি পৃথক পর্যায়ে আবার বলেছেন, ‘হিন্দুদের পড়ে পড়ে মার খাবার দিন শেষ। ইঁট ছুড়লে পাটকেল খেতে হবে। আমাদের আক্রমণ করলে নিশ্চয়ই রসগোল্লা খাওয়াবো না।’ অর্থাৎ তিনি এইসব বক্তব্য জেনে বুঝে ও সচেতন ভাবেই করেছেন। শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক জীবন কিন্তু অনেক লম্বা।

রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার ঝুলিও যথেষ্ট পরিপূর্ণ। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীত্বও সামলেছেন। এহেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যে অযথা আলটপকা মন্তব্য করবেন এটা কখনই হতে পারে না। এই মন্তব্য সমালোচনা যে হবেই এবং তুমুল বিতর্ক যে সৃষ্টি করবেই, এমনকি বিপক্ষ শিবির থেকে তীক্ষ্ম প্রতিক্রিয়া উঠে আসবেই, এসব তিনি বিলক্ষণ জানতেন। আর জেনে বুঝেই অত্যন্ত পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই যে শুভেন্দু অধিকারী এই ধর্মীয় তাস মিশ্রিত বক্তব্যটি আগামী নির্বাচনকে পাখির চোখ করে মিডিয়ার সামনে ইচ্ছাকৃত ভাবে বলেছেন। কিন্তু কেন? রাজ্য জুড়ে খুন, ধর্ষণ, দুর্নীতি, আরজিকর, শিল্পখরার মতো অনেক তো জ্বলন্ত ইস্যু রয়েছে। আসলে এই সব ইস্যুকে পুঁজি করে ভোট ময়দানে তৃণমূলকে পর্যদুস্ত করা কার্যত অসম্ভব বিজেপির পক্ষে। তার সঙ্গে রয়েছে সিপিএমের ভোট কাটাকুটির কারণে অন্তত ৩০/৩৫ টি আসনে বড় মাপের বিরোধী ভোট ভাগাভাগির আশঙ্কা। কংগ্রেসও একই ভাবে গোটা ১০ আসনে থাবা বসাবেই। দলগত বুথওয়াড়ি সাংগঠনিক শক্তির নিরিখেও বিজেপি তুলনাগত ভাবে তৃণমূল থেকে এযাবৎ বহু যোজন পিছিয়ে। এরসঙ্গে বাংলার বহু ভোট যুদ্ধের অবিসংবাদী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে এখনও শাসকনেত্রীও। সুতরাং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই মুহূর্তে সাধারণ পর্যায়ে বিজেপি যে জেতার মতো পরিস্থিতিতে নেই, সেই পাবলিক নার্ভ বিজেপি থিঙ্ক ট্যাঙ্কও অনুভব করতে পেরেছে দলীয় বিভিন্ন সমীকরণ থেকে। অতএব নির্বাচনে জেতার জন্য সস্তায় বাজিমাত করতে হিন্দুত্বের ঘুমন্ত আবেগকেই আবার একবার জোড়সে নাড়িয়ে দেওয়ার মতলবে মেতে উঠেছেন শুভেন্দু অধিকারী ও তার বিগ্রেড বাহিনী। কারণ তাঁদের বিশ্বাস, এই হিন্দুত্ব ধর্মীয়করণের মধ্যে দিয়ে তাঁরা নবান্নে পৌঁছে যাবেন অতি সহজেই। সুতরাং বাকি ইস্যু হলো তাঁদের কাছে এখন মাই ফুট।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশরা মনে করেন, রাজ্যের নির্বাচনের অঙ্কে ৩০/৩৫ শতাংশ মুসলিম ভোট কিন্তু তৃণমূলের নিশ্ছিদ্র ভোট ব্যাঙ্ক বলে সরাসরি চিহ্নিত। বাকি থাকলো ৬৫/৭০ শতাংশ হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মের ভোটদাতারা। এই বৃহত্তর অংশেই একচেটিয়া থাবা বসানোর বাসনায় বিজেপিও খোলামেলা ভাবে নেমে পড়েছে এখন থেকেই।

একেতেই শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজ্যের দীর্ঘতর সীমান্ত লাগোয়া প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের নিত্য ঘটনা। তার স্পর্শকাতর আঁচ এই বাংলার সংখ্যাগুরুদেরও মারাত্মক রকমের দহণ করেছে, একথা অনস্বীকার্য। আর সেই দহণের তাওয়াতেই বিজেপি তাদের হিন্দু ভিত্তিক ভোট রণকৌশল ইতিমধ্যেই সেঁকতে আরম্ভ করে দিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী এসব সাতপাঁচ ভেবেই এমন উষ্কানি মুলক বক্তব্য রেখেছেন যাতে তৃণমূল শিবিরও এই অভিঘাত কোনভাবেই এড়াতে না পারে।

এটাও বাস্তব শুভেন্দু অধিকারীর পাতা ধর্মীয় মাইনে পা দিয়ে ফেলেছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনিও পাল্টা প্রতিক্রিয়া ছুড়ে বসলেন সেই ধর্মের বিক্ষুব্ধ মোরকেই। তিনিও তাই বলে বসলেন, ‘আমার জাতিকে আক্রমণ করবে আমি কিছু বলবো না? আমার জাতিকে আক্রমণ করলে আমি ছেড়ে দেব না। হয় ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে না হলে মুর্শিদাবাদে শুভেন্দু অধিকারী এলে আমি স্পটে না থেকেও বুঝিয়ে দেব কি করতে হয়। আমার কাছে আগে জাতি পড়ে দল।’ শুধু এখানেই থেমে থাকেননি ভরতপুরের বিধায়ক। তিনি একটি সংবাদ মাধ্যমে আরও মন্তব্য করেন ধর্মীয় মেরুকরণজাত ভোটের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে। তাঁর বক্তব্য, ‘মুসলিম অধ্যুষিত বুথে ৮৫/৯০ শতাংশ ভোট পড়ে। কিন্তু হিন্দু প্রভাবিত বুথে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৬৫/৭০ শতাংশে। কারণ হিন্দুরা ভোটদানের ক্ষেত্রে অলস ও ফাঁকিবাজ।’

এদিকে হুমায়ুন কবীরের এমনতর মন্তব্য ভালো চোখে নেয়নি তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ক্ষুব্ধ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রতিটি দলের একটা মতার্দশ আছে। হুমায়ুন কবীর বারবার এই মতাদর্শের বিরুদ্ধে গিয়ে বক্তব্য রাখছেন। যেটা দলের নীতির পরিপন্থী।’ তৃণমূল এ’প্রসঙ্গে তাদের বিধায়ককে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে। কিন্তু হুমায়ুন কবীর নিজের বক্তব্যে আপাতত অটল থেকে পাল্টা জবাবও দিয়েছেন।

তৃণমূল এই পর্যায়ে যে হুমায়ুন কবীরের পাশে নেই তা স্পষ্ট। কিন্তু সঙ্গে এটাও ঠিক শুভেন্দু অধিকারীর এহেন ধর্ম ভিত্তিক অপ্রচলিত বক্তব্যের অভিঘাতে এবং হুমায়ুন কবীরের এইরকম মারকাটারি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সারা বাংলার রাজনৈতিক সুশীল মঞ্চ কিন্তু ক্রমেই আড়াআড়ি দুই মেরুতে অতি প্রকট ভাবে বিবর্তিত হতে শুরু করেছে। ভয়ঙ্কর ভাবে এমন ধর্মীয় ভোট বিভাজন অতি দ্রুত সংক্রামিত হচ্ছে জনমানসের চেতনায়, যা এতোকাল সত্যি ছিল বাঙালির কল্পনাতীত। সোশ্যাল মিডিয়ায় এর প্রতিফলন ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এর প্রতিচ্ছবি যেন ভারত পাক সীমান্তের উত্তেজনাকেও হার মানাচ্ছে।

কিন্তু এমন ভোট আবহ তো বাঙালির অন্তঃকরণের ভাষা নয়। একথা কেন ভুলে যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা থেকে ভরতপুরের বিধায়কেরা। ভোট বারংবার আসবে যাবে এই বাংলায়। গণতন্ত্রের মন্ত্রে বঙ্গ ক্ষমতায়ণের পাদপ্রদীপে কেউই চিরকাল অধিষ্ঠিত হতে পারেন না। এটাই তো প্রজাতান্ত্রিক দেশের গৌরবময় চিরন্তনী অধ্যায়। তাহলে ভোটের পিচকারিতে অযথা ধর্মের গোলা রঙ অযথা গুলিয়ে দেওয়া হবে। ভোটের ফ্লাসিং মিডোয় রাজনৈতিক বলে রাজনৈতিক সার্ভ হোক না। ক্ষতি কি? নজরুল তো আপনাদের থেকে কম বড় প্রতিবাদী ছিলেন না। কিন্তু তিনি তো আমাদের শিখিয়ে গেছেন ‘মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান।’ এর মর্মার্থ আমরা কেন ভুলে যাচ্ছি ভোট পাখির সাময়িক ডানা ঝাপটায়।

মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু এই ইস্যুতে নিরপেক্ষতাকেই বড় করে দেখতে চেয়েছেন। একদিকে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চলমান কঠোর অবস্থানের মধ্যে দিয়ে তিনি স্পষ্টতই হুমায়ুন কবীরকে অনমনীয় শাস্তির বার্তা দিয়েছেন। তেমনি বিরোধী দলনেতার উদ্দেশ্যে আপোষহীন ভাবে বলেছেন, ‘আপনারা কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন? আপনাদের বিরোধী দলনেতা তো মুসলিম বিধায়কদের ছুড়ে ফেলে দেবেন বলেছে। আপনারা বাইরে থেকে যে হিন্দু ধর্মের আমদানি করছেন তা কোনও বেদে নেই। মনে রাখবেন আগামী দিন কিন্তু ভয়ঙ্কর হতে চলেছে।’

একদম সঠিক বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। এভাবে ভোট রাজনীতিতে ধর্মের অনুপ্রবেশ সচেতন ভাবে রসায়িত করলে বাংলার আগত সময় প্রকৃতই ভয়ঙ্কর। কারণ ধর্মের ব্যবহার রাজনৈতিক আঙ্গিকে ঘটলে সেই আঙিনায় ধর্মজাত বিষধর সাপের প্রাদুর্ভাব অচিরেই ঘটবে। আর সেই সাপের ছোবল থেকে পক্ষের বা বিপক্ষের, কারও নিস্তার নেই। সাপ আর ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের তখন হয়ে ওঠে সমার্থক।

আবার বলি শুভেন্দু সাহেব ও জনাব হুমায়ুন, রবীন্দ্রনাথের এই কথাটা আরও একবার নিজেরা ঝালিয়ে নেবেন, ‘এদিকে একটা প্রকাণ্ড বিচ্ছেদের খড়গ দেশের মাথার উপর ঝুলিতেছে। কত শত বৎসর হইয়া গেল, আমরা হিন্দু ও মুসলমান একই দেশমাতার দুই জানুর উপরে বসিয়া একই স্নেহ ভোগ করিতেছি। তথাপি আজও আমাদের মিলনে বিঘ্ন ঘটিতেছে।’ প্লিজ এই দুই কুসুম মিলনে আপনারা বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না। প্লিজ প্লিজ প্লিজ।

সাবধান। অন্যথায় বাঙালি সমাজ আপনাদের ক্ষমা করবে না। আগামী দিনটা যে ভয়ঙ্কর। আর এই বাংলাটাও কিন্তু এই মহামানবের ভারতেরই অঙ্গরাজ্য।