রম্যাঁ রলাঁ
পূর্ব প্রকাশিতর পর
৩২। এই কয় বৎসরে সামাজিক ঘটনা সম্পর্কে আমার রচনাঃ
(ক) ‘‘মরক্কো যুদ্ধ ও ফরাসী সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে’’, ১৫ই
জুন, ১৯২৫;
(খ) ‘‘ইন্দোচীনের ছাত্র ও শ্রমিকদের নিকট চিঠি’’, ১৭ই মে, ১৯২৬;
(গ) ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী কর্তৃক নাইকারাগুয়া আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ’’, ১১ই জানুয়ারী, ১৯২৭। এ.পি.আর.’ এ (United Print of Manual and Intellectual Workers of Latin America) কর্তৃক সমগ্র দক্ষিণ আমেরিকায় বিতরিত।
(ঙ) ‘‘সাক্কো ও তানৎসেত্তি-র সমর্থন’’ (১৯২৬ সালের ১৪শে আগস্ট লুসিয়াঁ প্রিস-এর নিকট লিখিত চিঠি, ২৮শে সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের নেশন-এ ও ইউরোপ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
(চ) ‘‘সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বাণী’’, ১৬ই মে, ১৯৩১।
৩৩। ইহা ছাড়া পল বঁকুর সামরিক আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আমারই উদ্যোগ শুরু হয় এবং ১৯২৭ সালের ১৫ই এপ্রিল ‘‘এই স্বৈরতান্ত্রিক আইন মানিব না’’ বলিয়া আমার পণ প্রকাশিত হয় (১৫ই মে, ইউরোপ পত্রিকায় প্রকাশিত)। যদিও ১৯২৭ সালের ৭ই মার্চ ফরাসী পরিষদ কর্তৃক উহা গৃহীত হয় তথাপি এই জনমত জাগরণের ফলে উহা প্রত্যাহৃত হয়।
একই কারণে ও একই সময়ে ইতালীর বিখ্যাত ফাশিস্টবিরোধী নেতা জি. সালভেমিনিকে আমি জানাই যে, “Democratic International League of Friend of Italian Liberty”র কেন্দ্রীয় সমিতিতে আমি যোগদান করিতে পারিব না; কারণ ‘ফ্যাশিজম্’ ও ‘কমিউনিজম্’ উভয়কেই সমানভাবে বাধা দিবার জন্য একটি ‘তৃতীয় আন্দোলন’ চালনাই ঐ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য। (২৪শে মে, ১৯২৭)।
সালভেমিনিকে আমি লিখিলাম: ‘‘পূর্ব হইতেই কমিউনিজম্-বিরোধিতার ঘোষণাকে আমি অনুমোদন করিতে পারি না।’’ যদিও আমি কমিউনিস্ট ছিলাম না তথাপি তাহাকে জানাইলাম, ‘কমিউনিজমের মধ্যে আমি একটি নূতন গভীর গণশক্তির সন্ধান পাইতেছি; ফ্যাশিজমের বিরুদ্ধে অভিযানে ইহাই হইবে সর্বাধিক শক্তিমান বাহিনীগুলির অন্যতম। অতএব, ইতালীর ফাশিস্ট-বিরোধী আন্দোলনের পক্ষে ইহার সহযোগিতা প্রত্যাহারকে আমি অত্যন্ত শোচনীয় মনে করি।’’
৩৪। কমিউনিস্ট আন্দোলনের বাহিরে যে স্বল্পসংখ্যক বিখ্যাত ফরাসী লেখক এই সংকটমুহূর্তে সোভিয়েট ইউনিয়নের প্রতি প্রকাশ্যে সহানুভূতি ঘোষণা করিয়াছিল— আমি তাহাদের অন্যতম। মস্কোর সংবাদপত্রগুলিতে আমার চিঠি প্রথম প্রকাশিত হয়, পরে ১৯২৭ সালের ৭ই নভেম্বর ল্যুমানিতে পত্রিকায় উহা প্রকাশিত হয়।
(ক্রমশ)