রামমোহন রায় হিন্দুধর্মের জীবন রক্ষা করেছিলেন, বলেছেন রবীন্দ্রনাথ

ফাইল চিত্র

স্বপনকুমার মণ্ডল

অস্বীকার করার মধ্যেও স্বীকৃতি বর্তমান। যার মান আছে,তাকেই লোকে অপমান করে। বিদ্বেষের মধ্যেও থাকে মান্যতার গরিমা। সেক্ষেত্রে ঈর্ষাকারীকে তুচ্ছ ভাবার চেয়ে তারও মূল্যায়নের তারিফ করা শ্রেয়। কেননা সে অন্তত গভীর ভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছে। মেনে না নেওয়ার চেয়েও মনে নেওয়া আরও কষ্টকর। এজন্য কেউ বিদ্বেষবশত আঘাত বা অস্বীকার করলেই বুঝে নিতে হবে মেনে নেওয়ার চেয়েও মনে নেওয়া তার পক্ষে অস্বাভাবিক। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ইন্দরসিংহ পারমার রাজা রামমোহন রায়কে ‘ভুয়ো সমাজ সংস্কারক’ থেকে ‘ব্রিটিশের দালাল’ আখ্যা দিয়ে বক্তৃতা করে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন। ১৫ নভেম্বর শনিবারে সে রাজ্যের আগর মালওয়ায় বিরসা মুণ্ডার সার্ধশতবর্ষের এক অনুষ্ঠানে সরাসরি রাজা রামমোহন রায়কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন যা স্বাভাবিক ভাবেই বাঙালিবিদ্বেষী মনোভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং এখনও তার রেশ বর্তমান। তাঁর মোদ্দা কথা : ‘বাংলার ব্রিটিশ শিক্ষার ফলে ধর্ম পরিবর্তনের কুচক্র চলছিল। আর সেখানে বেশ কয়েক জন ভারতীকে ভুয়ো সমাজ সংস্কারক বানিয়ে রেখেছিল ব্রিটিশ। এঁদেরই একজন ছিলেন রাজা রামমোহন রায়। তিনি ব্রিটিশদের দালাল হিসাবে কাজ করতেন।’ ইন্দরসিংহের বক্তব্যে রামমোহন সম্পর্কে দুটি বিষয় স্পষ্ট। এক, রামমোহন ‘ভুয়ো সমাজ সংস্কারক’ এবং দুই, তিনি ‘ব্রিটিশের দালাল’।

স্বাভাবিক ভাবেই ইন্দরসিংহের বক্তব্যে সাম্প্রতিক কালে দেশজুড়ে বাঙালিবিদ্বেষী ঘটনাপ্রবাহে তার প্রকট অস্তিত্ব বাঙালির সামনে আবার নগ্ন হয়ে ওঠে। উনিশ শতকের নবজাগরণের প্রথম আলোকিত ব্যক্তিত্ব তথা ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায় ‘ভারতপথিক রামমোহন’ বাংলার গর্ব বাঙালির অহঙ্কার। তাঁর প্রতি কুরুচিপূর্ণ অপব্যাখ্যায় আঁতকে ওঠা বাঙালির প্রাণে আঘাত লাগে, মানের অবনমনে শিউরে ওঠে বাঙালির মন। অন্যদিকে তাঁর বক্তব্যের সমর্থনের অভাববোধে ইন্দরসিংহের বোধোদয় থেকে কথামালা বেরিয়ে আসে পরের দিন রবিবার (১৬ নভেম্বর) : ‘ভুল করে দেশের প্রসিদ্ধ সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায় সম্পর্কে আমার মুখ থেকে ভুল কথা বেরিয়ে গিয়েছে। আমি খুবই দুঃখিত। আমি প্রায়শ্চিত্ত করছি। আমি তাঁকে সম্মান করি।’ বলাই বাহুল্য, সম্মাননীয়কে কেউ তাঁর মতো কেউ অসম্মান করেন না।


সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর সচেতন বক্তব্য থেকে সচকিত ভুল স্বীকার কোনওটাই মেনে নেওয়া যায় না। অবশ্য ইন্দরসিংহের আঘাতের একটি ভালো দিকও আছে। এমনিতে রামমোহনকে নিয়ে বাঙালির শ্রদ্ধার অভাব নেই,বরং তা অতি পরিমাণেই আছে। তাঁকে নিয়ে গর্ববোধও অতিমাত্রায়। বিদ্যাসাগরের আগে রামমোহনের নাম সগৌরবে উচ্চারিত হয়ে থাকে। আধুনিক বাঙালির পরিচয়ে রামমোহন মুকুটহীন রাজা। অথচ তাঁকে নিয়ে চর্চার পরিসরের অভাবে বাঙালির কাছেও রামমোহন অপরিচয়ের কারণ হয়ে উঠেছেন। সেক্ষেত্রে ইন্দরসিংহের বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রামমোহনের মহামানবের আসন থেকে ঐশ্বরিক দূরত্ব ঘুচিয়ে মানবিক পরিচয় আলোকিত হওয়ার বিপুল সম্ভাবনা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিদ্যাসাগর থেকে রবীন্দ্রনাথ দুজনেই বিতর্কের পরিসরে অনেক পরিচিতি লাভ করেছেন। রাজা রামমোহন রায় সেদিক অনেকটাই উপেক্ষিত, বাঙালির কাছেও।

অন্যদিকে, রামমোহন রায়ের সমাজসংস্কারের স্বরূপ উপলব্ধি করা সহজসাধ্য নয়। শুধু মাত্র সতীদাহ প্রথাতেই তাঁর সমাজসংস্কারই তাঁকে স্মরণে বরণীয় করে তুলেছে। অথচ তাঁর সমাজসংস্কারের ব্যাপ্তি ও গভীরতা তাতে কিছুই বোঝা যায় না। উল্টে হিন্দু রক্ষণশীলদের কাছে তা অপ্রিয় ও বিরূপ করে তোলে। কালপ্রবাহে ধর্মীয় আধ্যাত্মিক চেতনার পরিবর্তে আচার-বিচারের জরাজীর্ণ প্রকৃতিতে আবদ্ধ মৃতপ্রায় বিপন্ন প্রাণসত্তাকে জাগিয়ে তুলতে রামমোহন রায় যেভাবে হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করেছিলেন, তা তাঁর আত্মীয় সভা থেকে ব্রাহ্মধর্ম প্রতিষ্ঠাতার পরিচয়ই সমধিক পরিচিতি লাভ করে। অথচ তাঁর বহুমুখী ও বহুমাত্রিক সমাজসংস্কারই তার আড়ালে থেকে গেছে। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সিটি কলেজে তাঁর স্মরণসভা (১২৯১-এর ৫ মাঘ) পঠিত প্রবন্ধে রামমোহনের পরিচয়ে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন: ‘বর্তমান বঙ্গসমাজের ভিত্তি স্থাপন করিয়াছেন রামমোহন রায় । আমরা সমস্ত বঙ্গবাসী তাঁহার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী, তাঁহার নির্মিত ভবনে বাস করিতেছি।’ আসলে আধুনিক বিশ্বে বাঙালির শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় রামমোহন রায় ছিলেন প্রথম। সেই শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয়েও তাঁর সমাজসংস্কারকের বনেদি ভূমিকার কথা রবীন্দ্রনাথ তাঁর পঠিত প্রবন্ধটিতে নানা উপমায়, উদাহরণে যেভাবে বোজানোয় সচেষ্ট হয়েছেন,তাতেই বিষয়টি অসাধারণত্ব লাভ করে : ‘রামমোহন রায় যখন জাগ্রত হইয়া বঙ্গসমাজের চারি দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন তখন বঙ্গসমাজ সেই প্রেতভূমি ছিল। তখন শ্মশানস্থলে প্রাচীনকালের জীবন্ত হিন্দুধর্মের প্রেতমাত্র রাজত্ব করিতেছিল। তাহার জীবন নাই, অস্তিত্ব নাই, কেবল অনুশাসন ও ভয় আছে মাত্র। সেই অন্ধকারে নিমজ্জিত অবস্থায় রামমোহন তাঁর সমাজসংস্কারের আলো জ্বেলে কোনও নতুন ধর্ম গড়ে তুলতে চাননি, হিন্দুধর্মকেই সচল করতে সক্রিয় হয়েছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ তাঁর পঠিত প্রবন্ধে তাও উল্লেখ করেছেন: ‘সকলে বলিল, তিনি হিন্দুধর্মের উপরে আঘাত করিলেন। কিন্তু তিনিই হিন্দুধর্মের জীবন রক্ষা করিলেন। সমস্ত ভারতবর্ষ এইজন্য তাঁহার নিকটে কৃতজ্ঞ।’ শুধু রবীন্দ্রনাথের মূল্যায়নেই নয়, স্বয়ং রামমোহনও সেকথা তাঁর আত্মজীবনীতেও স্পষ্ট করে তুলেছেন। তিনি যে ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুধর্মের বিরুদ্ধে ছিলেন না, বরং তার সংস্কার করতে চেয়েছিলেন,তা তাঁর কথাতেই প্রতীয়মান: ‘The ground which I took in all my controversies was, not that of opposition to Brahminism,but to a perversion of it, and I endeavoured to show that the idolatry of the Brahmins was contrary to practice of the ancestors, and the principles of the ancient books and authorities which they profess to revere and obey.’ অথচ তাঁর ব্রাহ্মধর্ম প্রতিষ্ঠাই হিন্দুরক্ষণশীলদের মনে হিন্দুধর্মবিরোধিতার শিকার হয়ে ওঠে।

সেই ধারার উত্তরসূরি হিসেবে রক্ষণশীলতার হিন্দু মানসিকতায় শুধু মধ্যপ্রদেশের ইন্দরসিংহই নন, এই বাংলাতেও অজস্র বাঙালির কাছে রাজা রামমোহন রায় এখনও হিন্দুবিরোধী হয়ে রয়েছেন। অথচ তিনি নীতি ও আদর্শে যেমন অবিচল ছিলেন, তেমনই আচারে-বিচারে স্বধর্ম রক্ষা করে চলেছেন আজীবন। ব্রাহ্মণের নিষিদ্ধ খাবার খেতেন না, অন্য ধর্মের লোকের সঙ্গে একাসনে বসে আহারও করতেন না। আবার তিনি উপবীত ধারণ করেছিলেন আমৃত্যু। শুধু তাই নয়, আজীবন স্বকীয় আদর্শে অবিচল থেকে সমাজসংস্কারে ব্রতী ছিলেন। সেখানে তাঁকে ‘ভুয়ো সমাজসংস্কারক’ বলার কোনও অবকাশ রাখেননি, বরং প্রবল ব্যক্তিত্বের পরাকাষ্ঠায় তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ রক্ষণশীল সমাজের কাছে অপ্রিয় হয়েছেন, বিতর্কের শিকারে সাধারণ্যে জনপ্রিয় হতে পারেননি, উল্টে জনপ্রিয়তার হাতছানিকে তোয়াক্কা না করে স্বপথে হেঁটেছেন অবিরত,আজীবন।

অন্যদিকে, রামমোহনের সমাজসংস্কার বহুধাবিস্তৃত ও লক্ষ্যভেদী পরম্পরার সঙ্গে সুদূরপ্রসারী। ধর্ম ও সমাজের সংস্কারের লক্ষ্যে তাঁর অন্তর্দৃষ্টি ক্রমশ বিস্তৃতি লাভ করে। হিন্দুসমাজের অভিশপ্ত যে পাঁচটি কুপ্রথা সেই সময় প্রচলিত ছিল,তার প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁর সংস্কারের দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়েছে। জাতিভেদ, অস্পৃশ্যতা, বহুবিবাহ, বাল্য বিবাহ ও সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে তাঁর সংস্কার ছড়িয়ে পড়লেও শেষোক্তটি ইতিহাসে সমুজ্জ্বল। অথচ সেখানেও তাঁর দালালির পরিচয় মেলে না, বরং তাঁর বিরোধিতা তাঁর স্বকীয় জাত চিনিয়ে দেয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ দেশের সতীদাহের মতো মধ্যযুগীয় বর্বরতা তথা প্রাণঘাতী কুপ্রথা বন্ধ করার সদিচ্ছা অনেক দিন আগে থেকেই ফরাসি, ওলন্দাজ ও পর্তুগিজ শাসকদের ছিল। সেই ধারায় পরে ইংরেজ শাসকরাও সচেষ্ট হয়েছিলেন। এ-দেশীয়দের ধর্মীয় আঘাতের ফলে জনমানসে তীব্র অসন্তোষের ভয়ে তা থেকে বিরত ছিলেন শাসকেরা।

সেক্ষেত্রে ইংরেজ শাসকের পক্ষে রামমোহন রায় যে সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে ইংরেজদের পক্ষে সামিল হয়েছিলেন সেই ১৮১৭-তে, তা শিবনাথ শাস্ত্রীর ‘রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ’ থেকেই জানা যায়। শুধু তাই নয়, ১৮১৮তে তাঁর প্রভাবও সতীদাহ প্রথাবিরোধী আন্দোলনে পড়েছিল। অন্যদিকে সাধারণ্যে এখনও প্রচারিত রাজা রামমোহন রায় সতীদাহ প্রথা বন্ধ করেছেন। অথচ কথাটি ঠিক নয়। ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ১৮২৯-এ আইন করে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করেন। রামমোহন রায় সতীদাহ প্রথার ঘোরতর বিরোধী হয়েও উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের আইন করে তা বন্ধ করার বিরোধিতা করেছিলেন।

সেক্ষেত্রে সময়ের প্রেক্ষিতে তাঁর বিরোধিতার সমালোচনা করা গেলেও তাতে তাঁর অনমনীয় স্বকীয় ব্যক্তিত্ব প্রকট হয়ে ওঠে। তিনি যে ‘ব্রিটিশের দালাল’ বা দাসত্ব করেননি, বরং প্রয়োজনে ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন, তাতে তাও প্রতীয়মান। রামমোহন সাময়িক আন্দোলন গড়ে তুলে প্রথাটি বন্ধ করতে চাইলে সমকালীন পরিসরে তা সমীচীন না হলেও তাঁর বিরোধিতার উদ্দেশ্য যে মহৎ ছিল, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। অন্যদিকে আইন লাগু করার পরে অবশ্য তিনি ও তাঁর সমমতালম্বী আরও অনেকে উইলিয়াম বেন্টিঙ্ককে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। অথচ রামমোহন রায়ের নেতৃত্বেই সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলন তীব্রতা লাভ করে এবং ব্রিটিশ সরকারকে আইন প্রণয়নে সক্রিয় করে তোলে। সেক্ষেত্রে তিনি অনায়াসেই উইলিয়াম বেন্টিঙ্ককে সমর্থন করে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার কৃতিত্ব নিতে পারতেন। অথচ তা তিনি করেননি। আসলে রামমোহনের সমাজসংস্কারে বিদ্রোহ করেননি, বিপ্লব আনতে চেয়েছিলেন। আবেগের বশবর্তী হয়ে তিনি ধর্ম ও সমাজের সংস্কারে সক্রিয় হননি, তা একান্তই তাঁর যুক্তি, তর্ক ও বিচারবোধ তাড়িত।

এজন্য সমাজসংস্কারে ধর্মশাস্ত্রকে হাতিয়ার করেননি, বরং সেই শাস্ত্রের আসল স্বরূপ বাংলায় অনুবাদের মাধ্যমে জনমানসে নিবিড় করায় সচেষ্ট হয়েছিলেন । শুধু তাই নয়, আধুনিক শিক্ষা প্রচলন থেকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি থেকে মুক্ত চিন্তার চর্চা সবেতেই তাঁর সমাজসংস্কারের নিবিড় আয়োজন। অন্ধবিশ্বাসের জায়গায় জ্ঞান বিজ্ঞান, ভক্তির পরিবর্তে যুক্তি ও ধর্মাচারের চেয়ে মানবমুখী কল্যাণকামী ঈশ্বরচিন্তা প্রভৃতির মধ্যেই রামমোহনের ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিত্বে কোনওরকম ধর্মীয় গোঁড়ামি ছিল না। অথচ তাঁকে ভালো করে জানা যেমন সাধারণের পক্ষে সহজসাধ্য ছিল না, তেমনই হিন্দু রক্ষণশীল সমাজের পক্ষে মেনে নেওয়াও আরও কঠিন হয়ে ওঠে। অজ্ঞতা থেকে শুধু বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় না, অস্বীকারের প্রবণতাকেও সক্রিয় করে তোলে। আবার রক্ষণশীল চেতনায় দৃষ্টির সংকীর্ণতায় অজ্ঞতার পথ আপনাতেই সুদূরপ্রসারী হয়ে ওঠে। সেই অজ্ঞতা ও সংকীর্ণতায় রাজা রামমোহন রায় আজ নিজেই শিকার। সেক্ষেত্রে তাঁকে নিয়ে ইন্দরসিংহের অসত্য মন্তব্য তীব্র আপত্তিজনক ও প্রতিবাদযোগ্য হলেও তাতে বিতর্কের আলোতে তাঁর অজানা খনির পরশমণি হদিশ পাওয়ার হাতছানিও মেলে।