সফরে লাভ ক্ষতির হিসেব পাক-আফগানিস্তান ও ভারতের

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

কুমারেশ চক্রবর্তী

‘কাবুল এখন নয়া দিল্লির নির্দেশেই চলছে।” পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে একথা বললেন! আফগানিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির ভারত সফর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পাক বিদেশ মন্ত্রী জানালেন, “আফগানিস্তান এখন ভারতের নির্দেশ অনুসারে চলে, দিল্লির কথায় কাবুল ওঠবস করছে!” সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী মুত্তাকির (৯ অক্টোবর ২০২৫ থেকে) ভারত সফরের এটাই হচ্ছে লাভ-ক্ষতির মূল নির্যাস।

ব্যাপারটা আরো ভালো করে বুঝতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে ২০২১ এর আগস্ট মাসে, যখন আফগানিস্তানে গণতান্ত্রিক সরকারকে উচ্ছেদ করে পাক মদত পুষ্ট তালিবানরা ক্ষমতা দখল করল। সেই সময় আফগানিস্তানের এই গৃহযুদ্ধে পাকিস্তান সর্বদাই তালিবানদের সমর্থন করেছে। ভারতের সমর্থন ছিল গণতান্ত্রিক সরকারের সমর্থক সামরিক বাহিনীর দ্বারা গঠিত নর্দান অ্যালায়েন্সের প্রতি। তাদের পরাজয়ের ফলে তালিবানরা সমগ্র আফগানিস্তানকে হাতের মুঠোয় নিয়ে নেয়। সেই সময় পাক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার ইমরান খান। তিনি সঙ্গে সঙ্গে এক সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করলেন, “আমরা তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিচ্ছি, এটা আফগানিস্তানের দ্বিতীয় স্বাধীনতা, এরপর তালিবান ভাইদের সঙ্গে আমরা কাশ্মীরী ভাইদের হয়ে একসঙ্গে লড়াই করব”।পাকিস্তানে সাত দিন ধরে তালিবানদের বিজয় উৎসব পালিত হল। কারাবন্দি বিপজ্জনক বলে ঘোষিত বহু তালিবান জঙ্গিকে পাক জেলখানা থেকে মুক্ত করে দেয়া হলো। কিন্তু ভাগ্যের এমন পরিহাস, সেই তালিবানদের সহযোগিতায় সামরিক বাহিনীর ষড়যন্ত্রে ইমরান খানকে গদি ছাড়তে হলো। তিনিই হলেন কারারুদ্ধ। তারপরের ঘটনা দ্রুত পাল্টে গেল। সমগ্র আফগানিস্তান পাকিস্তানের চরম শত্রুতে পরিণত হলো।


বলা বাহুল্য, আফগানিস্তানের তালিবান সরকার গণতন্ত্র বিরোধী নারী বিদ্বেষী এবং অমানবিক উগ্র সুন্নী মুসলিম গোষ্ঠী, যারা কোন বিজ্ঞান যুক্তি তর্ক,মানবিক আদর্শকে বিশ্বাস করে না। আমরা অতীত ইতিহাস বেশিদিন মনে রাখি না, তা না হলে মনে পড়তো ২০২১ সালের তালিবানদের ক্ষমতা দখল করার সময় সংবাদপত্র ও টিভির পর্দায় দেখা সেইসব খবর ও ছবি। রাস্তায় সারি সারি পড়ে আছে শাসক দ্বারা নিহত মৃতদেহ, যাদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু এবং নারী। তালিবান বিরোধী কোন ব্যক্তিকে দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশ ছিল। সে আসলে তালিবান বিরোধী কিনা এটুকু জানারও প্রয়োজন ছিল না। চরম নারী বিদ্বেষী তালিবানরা ঘর থেকে যুবতী মেয়ে বউদের টেনে হিজড়ে নিয়ে এসে ধর্ষণ ও যৌন অত্যাচার করে মেরে ফেলত। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষিত মেয়েদের যেমন অধ্যাপিকা, বিচারপতি, আইনজীবী, চিকিৎসক, লেখক প্রমুখের ওপরই প্রাথমিক অত্যাচারটা সর্বাধিক হয়েছে। তালিবান ফতোয়াতে ক্লাস সিক্সের পর মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়া হলো। পরে যদিও মাধ্যমিক পর্যন্ত অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু আজও মাধ্যমিকের পর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার কোন অধিকার আফগান মেয়েদের নেই। পুরুষ সঙ্গী ছাড়া কোন নারী বাড়ির বাইরে যেতে পারে না, সমস্ত অফিস আদালত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মেয়েদের বরখাস্ত করা হলো। বেছে বেছে মহিলা নেত্রীদের হত্যা করা হয়েছে। মেয়েদের লেখালেখি বন্ধ, মহিলা লেখকদের সমস্ত বই নিষিদ্ধ, এবং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় মেয়েদের লেখা বই, কবিতা বা প্রবন্ধের যে অংশ পড়ানো হতো এখন তা নিষিদ্ধ। শুধু মেয়েরা নয় পুরুষেরও ছাড় নেই। তারা ইচ্ছেমতো চুল দাড়ি-গোঁফ রাখতে কিংবা কাটতে পারেনা, তারা কোন গান শুনতে পায় না, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের নাচ গান করা নিষিদ্ধ। পশ্চিমি পোশাক আশাক পড়তে পারবেনা, ফতোয়ার বাইরে কোন কাজ তারা স্বাধীনভাবে করতে পারে না। সেই সময় আফগানিস্তানে থাকা সমস্ত বিদেশী সহ হাজার হাজার আফগান নারী পুরুষ আফগানিস্তান ত্যাগ করল।
খুব স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রশ্ন ওঠে এমন একটা সরকারের বিদেশ মন্ত্রী কে কেন দিল্লিতে জামাই আদর করে দেশ ঘোরানো হলো। এর উত্তর আমরা পেয়ে গেছি এই পত্রিকার ১৩ই অক্টোবর সম্পাদকীয় পৃষ্ঠায় তরুণ অধ্যাপক কুশল চক্রবর্তীর একটি লেখায়। তত্ত্ব ও তথ্য সমৃদ্ধ আকর্ষণীয় এই প্রবন্ধে কুশল বাবু বলেছেন, তালিবান সম্পর্কে কৌটিল্যের নীতি অর্থাৎ ‘শত্রুর শত্রু আমার মিত্র’ নীতির সফল প্রয়োগ করল ভারত। চাণক্য বা কৌটিল্যের নীতি অনুসারে আমাদের প্রধান শত্রু পাকিস্তান, আর বর্তমানে পাকিস্তানের প্রধান শত্রু আফগানিস্তান, সুতরাং আফগানিস্তানকে মিত্র হিসেবে গ্রহণ করাই উচিত পন্থা।

আধুনিক আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রয়োগ কৌশল সম্পর্কে প্রায় হাফ ডজন তত্ত্ব আছে, যার একটি হল বাস্তববাদী তত্ত্ব, বিশ শতকের আবিষ্কার। অথচ এটাই আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে কৌটিল্যের লেখায় পাই “রাজমন্ডল তত্ত্ব” নামে। সেই হিসেবে বিচার করলে নয়া দিল্লির পদক্ষেপ যথার্থই বলা যায়। আর এটা যে সঠিক তার প্রমাণ পাকিস্তান-বিদেশ মন্ত্রীর বক্তব্যে, যা শুরুতেই বলা হয়েছে।

হঠাৎ আফগান বিদেশ মন্ত্রী ভারতে চলে এলেন এবং নানান চুক্তি সম্পন্ন হল এটা ভাবার কোন কারণ নেই। এক বছরের বেশি ধরে এর সলতে পাকানো হয়েছে। এর মূলে ছিলেন প্রবীণ কূটনীতিবিদ জে পি সিংহ। না, চেনার কোন উপায় নেই।তিনি বড় একটা পাদ প্রদীপের আলোয় আসেন না। কিন্তু একটা পরিচয় দিলেই তাঁকে চিনতে পারবেন অনেকে। সম্প্রতি বলিউডের জন আব্রাহামের একটা সিনেমা হয়েছে যার নাম ‘দ্য ডিপ্লম্যাট’। এটা প্রকৃতপক্ষে কূটনীতিবিদ জে পি সিংহের জীবনের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কাহিনীটি রচিত হয়েছিল। এই জে পি সিং তালিবানদের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করেন ২০২৪ এ। দেখা করেন আফগানিস্তানের তালিবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মৌলবী মোঃ ইয়াকুব মুজাহিদের সঙ্গে। সেই প্রথম সাক্ষাতের পরই আলোচনার দরজা খুলে যায়। যার চূড়ান্ত পরিনতি ১০ই অক্টোবর২০২৫ ।

কিন্তু পাকিস্তান কিছুতেই চাইছিল না তালিবান মন্ত্রীর এই সফর সফল হোক। তাই ভারত এবং আফগানিস্তানকে বার্তা দিতেই দুই বিদেশ মন্ত্রীর আলোচনার রাতেই হঠাৎ কাবুলে বোমা বর্ষণ করে পাক সেনা। যার পাল্টা জবাব দিতে তালিবান সরকার বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করেনি। শুরু হয়ে যায় রক্তক্ষয়ী সীমান্ত সংঘর্ষ। টানা চার পাঁচ দিনের এই সংঘর্ষে উভয়ের পক্ষে শতাধিক সেনা নিহত হয়। পাক সেনার বিমান হানায় নিহত ও আহত হয় অনেক নিরাপরাধ সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে আফগানিস্তানের অত্যন্ত প্রতিভাবান ৩ তরুণ ক্রিকেটারের মৃত্যু, যা বিশ্ববাসীকে মর্মাহত করে। সব রাষ্ট্রই পাকিস্তানের আচরণের নিন্দায় সোচ্চার হয়। কিন্তু পাকিস্তানকে এই হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য ভালই মাশুল দিতে হয়েছে। পাক সরকার কর্তৃক প্রকাশিত একটি গোপন তথ্যে জানা গেছে ২০২৪-এ আফগানিস্তান সীমান্তে তাদের অর্থাৎ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মোট ২৫০০ জন সেনা নিহত হয়েছিল। এবছর অর্থাৎ ২০২৫- এ সেই সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২৪০০ ছাড়িয়ে গেছে।

পাকিস্তানের মাথাব্যথার প্রধান কারণ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এক কথায় যাদের পাকিস্তানি তালিবান বলা হয়, আফগানিস্তান সীমান্তেই এদের প্রধান ঘাঁটি। পাকিস্তানে বর্তমানে এদের নেতৃত্বেই প্রায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে এরা আফগান তালিবানদের থেকেও উগ্র, এরা চায় পাকিস্থানে তালিবান শাসন কায়েম করতে।

এবার দেখা যাক এই সফরকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান আফগানিস্তান এবং ভারতের লাভ-ক্ষতির হিসেব। যদি লাভের কথা ধরা যায় তাহলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হলো আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। কারণ গত চার বছরে তাদের নীতির সামান্য কিছু পরিবর্তন এবং উন্নতি হলেও একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া কোন রাষ্ট্র তাদের স্বীকৃতি দেয়নি অর্থাৎ তালিবান সরকারকে সমগ্র বিশ্ব বৈধ সরকার বলে মনে করে না। যদিও চীন ভারত ইরান রাশিয়া প্রভৃতি রাষ্ট্র তাদের সঙ্গে মানবিক সম্পর্ক বজায় রেখেছিল। তারপর এবছরে জানুয়ারি মাসে রাশিয়া হঠাৎ আফগানিস্তানকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি প্রদান করে। সুতরাং এই আন্তর্জাতিক রাজনীতির পটভূমিকায় এই সফর তালিবান সরকারকে নতুন করে একটি শক্ত মাটিতে পা রাখার সুযোগ দিল। কারণ ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শংকর ঘোষণা করেছেন, তারা কাবুলে ভারতের যে মিশন আছে তাকে দূতাবাসে পরিণত করবেন। এটা কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেবার আগে সর্বশেষ ধাপ। সুতরাং আফগানিস্তানের লাভের ঝুড়ি পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। তাছাড়া ভারত থেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রচুর পরিমাণে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। আর পেয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করার মদত । এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই সামরিক দিক থেকে পাকিস্তান আফগানিস্তানের তুলনা হয় না।পাকিস্তান সামরিক দিক থেকে, আধুনিক প্রযুক্তির দিক থেকে আফগানিস্তানের থেকে অনেক এগিয়ে আছে। তবে আফগানিস্তানের তালিবান বাহিনীর যে লড়াকু এবং নির্ভীক মনোভাব, কঠিন কষ্টকর ভয়ংকর গেরিলা যুদ্ধের অভিজ্ঞতা যা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে অনেকাংশেই কম। এটা মনে রাখতে হবে আমেরিকা রাশিয়ার মতো মহা শক্তিধর দুই রাষ্ট্রকেই তারা পরাজিত করে ক্ষমতা দখল করেছে ১৯৯৬ এবং ২০২১ এ। তাই পাকিস্তান সর্বদাই তালিবান শক্তিকে ভীষণভাবে ভয় করে, সমীহ করে।

এবার দেখা যাক শত্রুর শত্রু কে মিত্র করে ভারতের কি লাভ হল ? সঠিক হিসেব করলে ভারতের লাভের কড়ি অনেক। কিন্তু সব গোপন তথ্য তো প্রকাশ করা সম্ভব নয়, তবুও মোটামুটি হিসেবে দেখা যাচ্ছে, এই কূটনৈতিক ব্যবসাতে জয়শংকর ভালই লাভ করেছেন। প্রথমত, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চাবাহার বন্দর ব্যবহার করার জন্য পাকিস্তানের করাচি এবং গদর বন্দরকে উপেক্ষা করে যাওয়া সম্ভব হবে শুধুমাত্র আফগানিস্তানের সহযোগিতায়। বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে এর গুরুত্ব অপরিসীম।

দ্বিতীয়তঃ অর্থনৈতিক আদান-প্রদান এবং বাণিজ্যের দিক থেকেও ভারত লাভবান হবে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধে এটা একটা বড় প্রাপ্তি।

তৃতীয়তঃ যেটা সর্বাধিক লাভ বলে মনে করা হচ্ছে তা হল, তালিবানরা গত পঞ্চাশ বছরে কাশ্মীর সম্পর্কে তাদের অবস্থান পাল্টে দিল্লিতে মুত্তাকি বলেছেন যে, কাশ্মীরকে তারা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে ঘোষণা করছে। এছাড়া আফগানিস্তানে ভারতের যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প গুলি চলছিল সেগুলো পুনরায় শুরু হবে, শিক্ষা সংক্রান্ত ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পারস্পরিক আদান-প্রদান চালু করা হবে এবং ভারতকে তাদের পরম বন্ধু বলে তারা মনে করে।

চতুর্থত, আফগানিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে খুব পরিষ্কারভাবেই বলেছেন যে, আফগানিস্তানের মাটিকে তারা কখনোই ভারতের স্বার্থবিরোধী কোনো কার্যকলাপে ব্যবহার করতে দেবে না এবং ভারত বিরোধী কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর ঠাঁই আফগানিস্তানে হবে না।

ভারতের কি কিছুই ক্ষতি হয়নি? হ্যাঁ, নিশ্চয়ই হয়েছে, ভারতের চিরাচরিত মানবতাবাদী ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়েছে। নারী বিদ্বেষী একটা সরকারকে এভাবে সহযোগিতা করার জন্য কূটনীতির বাইরে যে জগৎ আছে, তারা কেউ খুশি হয়নি ভারতের এই আচরণে।

দুঃখের বিষয় আপাত দৃষ্টিতে পাকিস্তানের জাবদা খাতায় লাভের অঙ্ক চোখে পড়ছে না। তবে পাকিস্তানের লাভ-ক্ষতির হিসেব তো সরকারের কাছে থাকে না, থাকে সেনাবাহিনীর ছাউনিতে। তাই সেখানে সামরিক কর্তারা কী ভাবছে তা বলা মুশকিল! তাদের অংকে হয়ত তারা লাভের দিকটাই বেশি দেখছে! কারণ এই সুযোগে তালিবান ভূত দেখিয়ে সামরিক বাহিনী আবার ক্ষমতা দখল করে নিতে পারবে।