বিএনপি চেয়ারপার্সন ও বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনও অত্যন্ত সঙ্কটজনক। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউ-তেই তিনি চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার তিনি সামান্য কথা বলেছেন। চিকিৎসকেরা অবশ্য পরিষ্কার জানাচ্ছেন, কিডনির কার্যকারিতা না-ফিরলে সামগ্রিক উন্নতির আশা খুবই কম। কারণ, তাঁর বহু পুরনো কিডনির সমস্যা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খালেদার স্বাস্থ্য চিন্তায় রবিবার সকাল থেকেই দলের অনুগামীদের হাসপাতালের বাইরে বিপুল ভিড়। দলের কর্মী-সমর্থকেরা রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে নেত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন। ফুসফুসে সংক্রমণ ও নিউমোনিয়ার কারণে বাড়তি সতর্কতা নেওয়ায় চিকিৎসকরা ছাড়া কাউকে তাঁর কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়ার পরই খালেদার অবস্থার জটিলতা বাড়তে থাকে। কিডনির কার্যকারিতা কমে যাওয়ায় টানা চার দিন তাঁর ডায়ালিসিস করাতে হয়েছে। বয়সজনিত নানা রোগের কারণে একটির চিকিৎসায় অন্যটির উপর প্রভাব পড়ছে। ফলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠেছে।
এদিকে, জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান জানিয়েছেন, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে তিনি এখনই দেশে ফিরতে পারছেন না। যদিও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, তারেকের ফিরে আসায় তাদের কোনও বাধা নেই। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ— সকলে খালেদার সুস্থতা কামনা করেছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অবস্থার সামান্য উন্নতি হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। এ জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।