রােহিঙ্গা প্রশ্নে হাসিনার ক্ষোভ

শেখ হাসিনা (File Photo: IANS)

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার অধিবেশনের ফাঁকে এক উচ্চপর্যায়ের আলােচনায় আন্তর্জাতিক মঞ্চের ‘নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার অধিবেশনে ভাষণ দেন হাসিনা।

তার আগেই রােহিঙ্গা সমস্যার দিকে বিশ্বের নজর টানতে সুর বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার এই ভাষণের প্রাক্কালে বাংলাদেশের পৃষ্ঠপােষকতায় ‘হাই লেভেল সাইড ইভেন্ট অন ফসিবলি ডিসপ্লেস মায়ানমার ন্যাশনালস (রােহিঙ্গা) ক্রাইসিস; ইম্পারেটিভ ফর আ সাসটেইনবেল সলিউশন’ শীর্ষক ভাচুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা জানান, রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ আলােচনায় এই সংকট তুলে ধরতে ঢাকার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই বৈঠকের আয়ােজন করা হয়। এদিকে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।


হাসিনা বলেন, আমি বারবার বলেছি, রােহিঙ্গারা মায়ানমারের নাগরিক। সুতরাং, তাদের অবশ্যই নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিয়ে তাদের জন্মভূমি মায়ানমারেই ফিরে যেতে হবে।’ শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘রােহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অতএব, এ ব্যাপারে জরুরি প্রস্তাব গ্রহণ করা প্রয়ােজন। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, এ ক্ষত্রে আমরা বাংলাদেশে যা কিছু করছি, তা সম্পূর্ণরূপে অস্থায়ীরূপে অস্থায়ী ভিত্তিতে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রােহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যা কিছু করা সম্ভব, তা অবশ্যই করতে হবে।

এদিকে তারা নিজেরাও তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। একই সঙ্গে ন্যায়বিচার ও দেশে প্রত্যাবর্তনে ভুক্তভােগী জনগােষ্ঠীর মধ্যে দৃঢ় আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সংখ্যালঘু রােহিঙ্গা সম্প্রদায়কে নিপীড়নের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে প্রধানমন্ত্রী প্রচার চালানাের ব্যাপারে গুরুত্বারােপ করেন।

এদিকে রােহিঙ্গা বিরােধী তথ্য প্রকাশে ফেসবুককে নির্দেশ দিয়েছে আমেরিকার একটি আদালত। মায়ানমারে রােহিঙ্গা বিরােধী হিংসায় সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলাের তথ্য মুক্তি দিতে ফেসবুককে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতের বিচারক।

এই তথ্যগুলাে বন্ধ করে দিয়েছিল ফেসবুক। এই খবর প্রকাশ করেছে আল জাজিরা ও রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার ফেসবুকের সমালােচনা করেন ওয়াশিংটন ডি.সি’র ওই বিচারক।

সংখ্যালঘু মুসলিম জনগােষ্ঠীর বিরুদ্ধে মায়ানমারে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিরুদ্ধে তদন্তে তদন্তকারীদের কাছে তথ্য হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হওয়ায় ফেসবুকের সমালােচনা করেন তিনি। এদিকে, তথ্য শেয়ার করতে অস্বীকার করেছে ফেসবুক। তারা বলছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের আইনবিরুদ্ধ।