গুডফ্রাইডে ও বাংলা কবিতা

ড. সুরঞ্জন মিদ্দে

বাংলা কবিতায় ‘বড়দিন’ যিশুকে যতটা প্রকাশ করেছে, ‘গুডফ্রাইডে’ খ্রিস্টের শাশ্বত সত্তাকে উদ্ভাসিত করেছে চিরন্তন বিশ্বজনীনতায়৷ মৃতু্যই খ্রিস্টের সর্বোত্তম শ্রেষ্ঠ প্রকাশ৷ মৃতু্যঞ্জয়ী খ্রিস্টই বিশ্ববাসীর মনে সবচেয়ে আশার আলো ফেলেছে৷ উদভ্রান্ত, ভেঙে পড়া শিষ্যদের মনে শক্তি জুগিয়েছে গুডফ্রাইডের ক্ষমশীল যিশু৷ সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার, বিশ্বের সব ভাষার সাহিত্যকে প্রভাবিত করেছে ক্রুশবিদ্ধ যিশু৷ বাংলা কবিতায় আংশিকভাবে হলেও প্রেমিক খ্রিস্ট এক ভিন্নমাত্রা দিয়েছে৷ আধুনিক কবি জীবনানন্দ দাশ এক আশ্চর্য দার্শনিকতায় ক্রুশের মিথকে কবিতার শিল্পে প্রকাশ করেছেন৷

কবি নচিকেতা ভরদ্বাজের ‘এক মৃতু্য : অনন্ত জীবন’ গ্রন্থটি বাংলা কবিতার ইতিবৃত্তে এক স্মরণীয় সংযোজন৷ শতাধিক কবিতার এই সংকলনে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবিদের কবিতার বাংলা অনুবাদ, খ্রিস্টের সমগ্র জীবনকে বোঝার এক গভীরতম অনুভব এনে দিয়েছে৷ ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, সোভিয়েত রাশিয়ার কবিদের কবিতায় খ্রিস্ট এক অনিবার্য চরম সত্যকে প্রকাশ করেছে৷ যেখানে জন মিলটন থেকে ওয়াল্ট হুইটম্যানের কবিতার স্বচ্ছন্নদ বাংলা অনুবাদ, বাংলা অনুবাদ কবিতা চর্চার ভুবনে কবি নচিকেতা ভরদ্বাজ একটি বিশিষ্ট নাম হিসাবে স্মরণীয় হয়ে আছে৷ তাঁর ‘একটি নমস্কার’ নামক কবিতায় খ্রিস্ট এসেছে এক অনন্য ব্যঞ্জনায়৷ নচিকেতা ভরদ্বাজের কবিতার ভেতরে আরও অন্য কবির কবিতা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে—


অবাক ঈশ্বর তুমি! আমরা দেখেছি শুধু তোমার অমল ভালোবাসা
সমস্ত মানুষ যাতে মাথা উঁচু পথ চলতে পারে
এবং তারই জন্য অন্যায়ের প্রতিবাদের বিরুদ্ধে তুমি খর-খড়গসম
ক্ষমাহীন অনিদ্র গোলাপ৷…
সে অন্তহীন জীবনের অন্য নামই খ্রিস্ট :
এবং এ পথ ধ’রে চিরকাল মানুষেরা যেহেতু অন্তহীন অভিযাত্রী হবে
মহত্তম তীর্থঙ্কর—
বিশ শতকের সাতের দশকে প্রকাশিত ‘এক মৃতু্য : অনন্ত জীবন’ সংকলনটি বাংলা কবিতায় খ্রিস্ট চর্চার ভুবনে এক অভিনব প্রয়াস হিসাবে স্মরণী হয়ে আছে৷

আধুনিক কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় খ্রিস্ট কথা প্রধান সুর না হলেও ক্রুশের ব্যঞ্জনা সীমাহীন জীবনের তীব্রতাকে প্রকাশ করেছে৷ হয়ত ‘এ পৃথিবী একবার পায় তারে, পায় নাকো আর!’ তবুও বাঙালি কবির কাছে বঙ্গদেশেও খ্রিস্ট— ‘মানুষের মৃতু্য হলে মানুষ তবুও বেঁচে থাকে৷’ ক্রুশ সেই কবিতার গভীরে যেন নব বাইবেল৷ নতুন চিত্রকল্পে ক্রুশ, বিরহী-বিচ্ছেদী মনকে সঞ্জীবিত করেছে৷ বড়দিন উৎসবে যিশুকে যতটা না প্রকাশ করেছে; গুডফ্রাইডে যিশুকে শাশ্বত বিশ্বজনীনতায় উদ্ভাসিত করেছে৷ মৃতু্যই যিশুর সর্বোত্তম প্রকাশ৷ মৃতু্যর মধ্যে দিয়েই জীবনের জয়গান৷ মৃতু্যঞ্জয়ী যিশুই মানুষের মনে সবচেয়ে আশার আলো দেখিয়েছে৷ উদভ্রান্ত ভেঙে পড়া শিষ্যদের মনে শক্তি জুগিয়েছেন পুনঃজীবিত যিশু৷ সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার পৃথিবীর সহ সাহিত্যে প্রভাবিত করেছে যিশুর ক্রুশবিদ্ধ মৃতু্য৷ ক্রুশবিদ্ধ যিশু সব ভাষার সাহিত্যে শুধু নয়, শিল্প, সংস্কৃতি, চিত্রকলা আর সঙ্গীতকে প্রভাবিত করেছে যুগ যুগ ধরে৷ বিশ্ববিখ্যাত সমস্ত লেখক-লেখিকারা তাদের কলম থেকে বেরিয়ে এসেছে অমৃত পুরুষ যিশুর জন্য ভালোবাসা৷ নাটক, কবিতা, উপন্যাস এমনকী চিত্রকলায় সেই চিরপ্রেমিক যিশুর জয়গান৷ এই মুহূর্তে সমস্ত হিসাব ওলোটপালোট করে দিয়ে বলা যায় পৃথিবীতে সবচেয়ে আলোচিত অনন্য ব্যক্তিত্ব ঈশ্বরপুত্র যিশু৷

বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম তাঁর ‘দারিদ্র্য’ কবিতায় চমৎকার বর্ণনায় ক্রুশবিদ্ধ যিশুকে চিত্রিত করেছেন—
হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান৷
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিস্টের সম্মান
কণ্টক-মুকুট শোভা৷…
দুঃসহ দাহনে তব হে দর্শী তাপস
অম্লান স্বর্ণেরে মোর করিলে বিরস,
অকালে শুকালে মোর রূপ রস প্রাণ
শীর্ণ করপুট ভরি সুন্দরের দান৷
কবি জীবনানন্দ দাশ তাঁর একটি দীর্ঘ কবিতার ছত্রে ছত্রে ক্রুশের অনুষঙ্গ বিস্মিত করে৷ ক্রুশকে নিয়ে ভিন্ন ভাবনায় নিপুণ চিত্র অঙ্কন করেছেন৷ ক্রুশকে নিয়ে এক অভিনব ব্যঞ্জনা শুধু বাংলা কবিতায় বিশ্বসাহিত্যে এক অনন্য রসভাষ্য হয়ে উঠেছে—
‘আর অই দেবতার ছেলে এক,— ক্রুশ তার বুকে;
সে শুধু জেনেছে ব্যথা— ক্রুশে শুধু সেই ব্যথা আছে৷
যেই গাঢ় বেদনার মাথা তার পড়িয়াছে ঝুঁকে,
যে ব্যথার রক্ত তার ক্রুশের উপরে করিয়াছে৷’
অথবা কবিতার অন্য একটি ছত্রে লেখেন— আশ্চর্য একটি দার্শনিক কবিতার কথাশিল্প বা আশ্চর্য মিথ হয়ে ওঠে৷
‘আমারও কি সেই ক্রুশে একবার চুমো দিতে হবে?
যে ঠোঁটে আগুন আছে— যেই ঠোঁটে নাই কোনও জল৷’

এ হূদয়ে নাই কোনো ক্রুশকাঠ ধরিবার সখ,
পাপের হাতের থেকে চাই নাক’ কোনো পরিত্রাণ!’
এ যেন নতুন বাইবেলের বাণী আধুনিক যুগে নবভাষ্যকার কবি জীবনানন্দ৷ আধুনিক ভালোর শ্রেষ্ঠ কবি জীবনানন্দের কলমে ক্রুশ যেন হয়ে উঠেছেন পাপ আর পাপীর অতি আধুনিক চিত্রকল্প—
‘আমারে পৃথক কর,— পৃথক করিতে যদি পার!
শীতল করিতে পার, ক্রুশ, তুমি আমার উত্তাপ?

তারপর শান্তি চাই,— তোমার শান্তির মত নয়৷
সেইখানে আলো নাই,— দূত নাই, ঈশা, তুমি নাই৷’
আবার ‘বড়দিন’ হয়ে গেছে গুডফ্রাইডে৷ আসলে বড়দিন আর গুডফ্রাইডেকে যিশুর জীবন থেকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা অসম্ভব৷ ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ‘বড়দিনে’ কবিতা—
‘রাষ্ট্র মোদের কাঁটার মুকুট, সমাজ মোদের কাঁটার শয্যা সে যে,
যতই ব্যথায় পাশ ফিরি হায় ততই বেঁধে, ততই ওঠে বেজে৷
নিরীহজন লাঞ্ছনা সয়, সে লাঞ্ছনা বাজে তোমার বুকে
নিত্যনতুন ক্রুশের কাঠে তোমায় ওরা বিঁধছে পেরেক ঠুকে৷’
এই সময়ের আধুনিক কবি অমিতাভ দাশগুপ্ত তাঁর ‘বড়দিন’ কবিতায় লেখেন—
‘পেরেক-গাঁথা হাতে, পেরেক-গাঁথা বুকে
শীতের রাতে পোড়ে চৈত্র-বৈশাখ,
গল্গোথার দিকে চলেছে যিশু, তার
সামনে হাহাকার, পেছনে হাহাকার৷
এক অপরূপ পেরেক উপমার মাধ্যমে বড়দিনের শীতের রাত গুডফ্রাইডের গ্রীষ্মকালের চেয়ে আগুন ঝরাচ্ছে৷ দু’হাজার বছর পরেও মানুষের দুঃখরূপ ক্রুশ যেন নিত্যসঙ্গী৷
বাংলাদেশের এক প্রখ্যাত কবি ডেভিড বি আর সরকার ‘একটি জীবনের বিনিময়ে’ নামক কবিতায় লেখেন—
একটি জীবনের রক্তমূল্যে
পেয়েছি আমরা অক্ষয় সুখ আর শাশ্বত শান্তি৷
একটি পরশমণি জীবনের স্পর্শে
ধন্য হল কলঙ্কময় ক্রুশ;—
এবং এক পশলা রক্ত বৃষ্টিতে
ধুয়ে গেল কালভেরীর কালো অভিশাপ৷
এই কথাচিত্র যেন ভালোবাসার বাণী৷ ক্রুশের মধ্যেই আছে নুতন জীবনের গল্প৷ রক্ত বৃষ্টির মধ্যে ধুয়ে যাচ্ছে বর্বরতরা অন্ধকার৷ দুঃখে জীর্ণ জীবনেও পরশমণির মতো জীবনের দীপশিখা স্ফূরিত হচ্ছে৷
কবি সজনীকান্ত দাস তাঁর ‘প্রেমের দেবতা’ কবিতার সংলাপ চিরন্তন প্রেমের কথা ব্যক্ত করেছে৷ প্রেমের রাজার মধ্যেই আছে ক্ষমার বসন্ত৷ যন্ত্রণার মধ্যেও ক্ষমা৷ এ তো বিশ্বের বিস্ময়৷
সেই যন্ত্রণা, সেই ক্ষমা, সেই প্রেম;
যন্ত্রণা সীমাহীন
ক্ষমা সে অসম্ভব,
বিস্ময় মানি তোমার মহিমা স্মরি,
প্রেমের দেবতা তোমারে প্রণাম করি৷
কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতায় ক্রুশবিদ্ধ যিশু এক অন্যমাত্রা পেয়েছে৷ বাংলা কবিতার ধারায় যিশু যেন কবিতার রক্ত, ফুল আর বৃষ্টির রামধনু৷—
‘বুকের মধ্যে অবাক মরুভূমির তীর্থ
বাইরে বৃষ্টি,
বাইরে অঝোরে বারিধারা৷
আমার ঘরভরতি শুধু ক্রুশের চিহ্ন, করুণাহীন,
কোথায় আমার রক্তমাখা আলোর ফুল, ক্ষমা?’
কেউ তাঁকে বলেছেন দরিদ্রের দেবদূত৷ জনতার ঈশ্বর৷ কেউবা তাঁকে দেখতে পেয়েছেন সাম্যবাদের প্রথম প্রবক্তারূপে৷ অনেকেই মেনে নিয়েছেন ‘মহান বিদ্রোহী’ রূপে৷ কারো কাছে তিনি শ্রেষ্ঠ কর্মযোগী৷ তবে যিশু মৃতু্যর মধ্য দিয়ে লাভ করেছেন মৃতু্যহীন মহাজীবন৷ এক মৃতু্য অজস্র আলো, অনন্ত জীবন৷ এক মৃতু্য শাশ্বত জীবন৷
আয়ারল্যান্ডের কবি কুনো মেয়ার তাঁর ‘দ্য ক্রুসিফ্রিকসন’ কবিতায় লেখেন—
ঊষার প্রথম পাাখি ডেকে উঠল অরণ্যে যখন
তোমাকে তখন ক্রুশে বিদ্ধ করল ওরা;

কারণ, তাঁরই জন্য জননীর চোখে আজ এত অশ্রুধারা
এই কথা ভেবে তাঁর চারিদিকে দুঃখের পাহাড়৷
ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকার কবি নাটালী ফ্ল্যোর তাঁর ‘দ্য মার্টার’ কবিতায় লেখেন—
‘…স্তব্ধ কণ্ঠস্বর—
আকাশের প্রচ্ছদপটে অন্ধকারে আর একটি ক্রুশ যেন
অলৌকিক উদ্ভাসিত চকিত প্রভায়৷’
হল্যান্ডের কবি আলবার্ট ভেরেওয়ের তাঁর ‘ক্রাইস্ট অন দ্য ক্রুশ’ কবিতায়—
দুঃখের লাবণ্যপুঞ্জ নিরানন্দ অন্ধকার বিষণ্ণ ক্লান্ত পৃথিবীতে
প্রেমের পরমাশ্চর্য!…
তাকিয়ে দেখছে তাঁকে অমল দৃষ্টিতে,
আমার সর্বাঙ্গে ঝরে অন্তঃহীন দুঃখ আর প্রেমের যে দৃষ্টির তথতা৷
রাশিয়ার কবি আন্না আখমাটোকা তাঁর ‘ক্রুসিফ্রিকশন’ কবিতায় লেখেন—
এবং তখন বক্ষ তার আকুল করাঘাতে
দীর্ণ, আহা অন্তহীন দুঃখে এবং শোকে
মেরি ম্যাগডালিন
বিপর্যস্ত : অশ্রুময়ী ক্রন্দনে আপ্লুতা৷
আমেরিকান কবি ওয়াল্ট হুইম্যান লেখেন তাঁর ‘টু হিম দ্যাট ওয়াজ ক্রুসিফায়েড’ কবিতায়—
মদমত্ত ওরা সব খেয়ে আসে, আমাদের গ্রাস করে,
চারিদিকে ঘিরে ধরে চেপে বসে আমাদের
মাথার উপরে, প্রিয় বন্ধু আমার!
গ্রেট ব্রিটেনের বিশ্বখ্যাত কবি টি এস এলিয়টের ‘It is hard for those who have never known persecution’ কবিতায়—
মানবপুত্র ক্রুশবিদ্ধ হচ্ছেন এখানে বারবার,
প্রতিদিন— প্রতি মুহূর্তেই—
এবং অনেক আরো শহিদ হবেন আর সাধুসন্তরাও
এগিয়ে যাবেন মহাজীবনের দিকে৷
আশ্চর্য মিল দেখতে পাই রবীন্দ্রনাথের ‘বড়োদিন’ নামক রচনায়—
‘আমাদের জীবনে তাঁর জন্মদিন দৈবাৎ আসে,
কিন্ত্ত ক্রুশে বিদ্ধ তাঁর মৃতু্য সে তো আসে
দিনের পর দিন৷…
তারা যিশুকে একবার নয়, বারবার ক্রুশেতে
বিদ্ধ করেছে৷…
আজও তিনি মানুষের ইতিহাসে
প্রতি মুহূর্তে ক্রুশে বিদ্ধ হচ্ছেন৷’
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত ‘শিশুতীর্থ’ কবিতায় ওই একই সুর প্রতিধ্বনিত হয়েছে নতুন অনুষঙ্গে৷—
‘সংশয়ে তাকে আমরা অস্বীকার করেছি,
ক্রোধে তাকে আমরা হনন করেছি,
প্রেমে এখন আমরা তাকে গ্রহণ করব—
কেননা, মৃতু্যর দ্বারা সে আমাদের সকলের জীবনের
মধ্যে সঞ্জীবিত সেই মহামৃতু্যঞ্জয়৷’
সকলে দাঁড়িয়ে উঠল; কণ্ঠ মিলিয়ে গান করলে—
‘জয় মৃতু্যঞ্জয়ের জয়!’
তাঁর ‘বড়োদিন’ নামক কবিতায়ও ওই একই গুডফ্রাইডের চেতনা স্পষ্ট হয়েছে৷ বড়দিনের ব্যাপ্তি যেন গুডফ্রাইডে৷
‘মানবপুত্র তীব্র ব্যথায় কহেন, ‘হে ঈশ্বর!
এ পানপাত্র নিদারুণ বিষে ভরা
দূরে ফেলে দাও, দূরে ফেলে দাও ত্বরা৷’
ক্রুশবিদ্ধ মানবপুত্র যিশু মানুষের মতো তীব্র ব্যথা অনুভব করেছেন৷ মানবজন্মই শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি জীবজগতেরও৷ যিশুর পরিচয় মানবপুত্র সেটা স্পষ্ট হয় যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে মৃতু্যর মধ্যে৷ ধ্বংসের পরেই সৃষ্টি৷ বিশ্বসাহিত্যে ক্রুশকে নিয়ে যিশুর মৃতু্যকে শত শত বছর ধরে একটি মিথ তৈরি হয়েছে৷ সৃষ্টি হয়েছে মহাকাব্য৷ চিরায়ত লোককাহিনি৷ যা যুগ যুগ ধরে সমস্ত স্তরের মানুষকে প্রভাবিত করেছে৷ মৃতু্যই মানবজীবনের বড় সত্য৷ একমাত্র সহিত্যেই সেই অমর মৃতু্যকে জীবন্ত করে তোলে৷ সৃষ্টিই চিরন্তন৷