ভুয়ো পরিচয়ে দিয়ে প্রতারণার ঘটনা প্রায়শই সামনে আসে। এবার পুলিশ সুপার পরিচয়ে দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। গড়ফা থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে আমডাঙা থানার পুলিশ। তাঁর থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ভোটার এবং আধার কার্ড। এছাড়াও নগদ টাকা, মোবাইল, ল্যাপটপও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ধৃত সুস্মিত সেন নীল বাতির গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়াত। আর নিজেকে পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে নানা ভাবে প্রতারণার ফাঁদ পাততো। প্রথমে নিজের টার্গেট ঠিক করতো। তারপর সেই ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিত। আর বিনিময়ে দাবি করত লক্ষাধিক টাকা। এমন ঘটনা তিনি একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে করেছেন। কিন্তু চাঞ্চল্যকর বিষয় এই যে কেউই চাকরি পেতেন না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রতারিত ব্যক্তিরা সন্দেহ করতে শুরু করে। তাঁদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙলে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। আর তারপরই তাঁদের মধ্যে এক প্রতারিত ব্যক্তি আমডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশের নাম করে প্রতারণার অভিযোগ পেয়েই পুলিশরা নড়ে বসে। তাঁরা তৎক্ষণাৎ তদন্ত শুরু করে। একাধিক এলাকায় আমডাঙা থানার পুলিশ তল্লাশি চালাতে শুরু করে। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার ভোররাতে গড়ফা থেকে সুস্মিত সেনকে পাকড়াও করা হয়। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এলাকায় নিজের ভুয়ো পরিচয় তৈরি করেছিলেন সুস্মিত। নিজেকে পুলিশ সুপার রণজয় চট্টোপাধ্যায় নামে পরিচয় দিয়ে তিনি প্রতারণা করতেন। তাঁর থেকে একাধিক আধার ও ভোটার কার্ড-সহ নগদ ৫ লক্ষ টাকা, একটি ল্যাপটপ, তিনটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বারাসত আদালতে তোলা হয়। পুলিশ তাঁর সম্পর্কে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে। তাঁকে জেরা করে প্রকৃত পরিচয়, ঠিকানা জানার চেষ্টা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।