মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো বীরভূমে শুরু হল দেউচা–পাচামি কয়লা ব্লকের কাজ। বৃহস্পতিবার মহম্মদবাজারের চাঁদা এলাকার সরকারি ভেস্টেড ল্যান্ডে কাজ শুরু হয়। এ দিন কর্মীদের রেজিস্ট্রেশন করিয়ে খনিতে কাজে নামানো হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার সহ জেলার পদস্থ আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, কাজের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় মমতা বলেন, ‘ডেউচা-পাঁচামিকে স্যালুট। ওখানে কাজ শুরু হয়েছে। আমি ওখানকার মানুষকে ধন্যবাদ জানাই।’
জেলাশাসক বিধান রায় জানান, বৃহস্পতিবার থেকে কাজ শুরু হয়েছে। প্রথমে ব্যাসল্ট পাথর তুলতে হবে। স্থানীয়রাই এই কাজ করবে। সরকারি জমিতে কাজ শুরু হয়েছে। জল, জমি, জঙ্গল নষ্ট না করাই হবে লক্ষ্য। অপরদিকে দেউচা পাচামির কাজ শুরু হওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। এই কাজ শুরু হলে এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে। আরও বেশি করে স্কুল, হাসপাতাল তৈরি করা হবে। কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এই কাজ শুরু হওয়ায় এলাকার আর্থ সামাজিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে বলে আশাবাদী প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন (বিজিবিএস) ২০২৫–এর উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার থেকেই দেউচা পাচামিতে কাজ শুরু হবে। সেই মতো সকাল থেকেই মহম্মদবাজারের চাঁদা এলাকায় ভিড় জমিয়েছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সকলের নজরদারিতে এদিন শুরু হয় কাজ।
বুধবার বিজিবিএসের মঞ্চ থেকে মমতা জানিয়েছিলেন, দেউচা পাচামি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোল ব্লক। মাটির নিচে কয়েক মিলিয়ন টন কয়লা ও ২ হাজার ৬০০ মিলিয়ন টন ব্যাসল্ট রয়েছে। কয়লা তোলার কাজ শুরু করতে হলে প্রথমে ব্যাসল্ট উত্তোলন করতে হবে। এরপরই তিনি বৃহস্পতিবার থেকে কাজ শুরু করার ঘোষণা করেন। তাঁর দাবি, বাংলার শিল্পোন্নয়নে ইতিবাচক অনুঘটকের ভূমিকা নেবে এই কোল ব্লক। প্রাথমিক পর্যায়ে এখানে ৩৫ হাজার কোটি টাকা লগ্নির সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে কাজ শুরুর আগে ক্ষোভ প্রকাশ করে চাকরির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন জমিদাতাদের একাংশ। তবে বুধবারই বিজিবিএসের মঞ্চ থেকে জমিদাতাদের চাকরির আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সকালে মানুষ বিক্ষোভ দেখালেও পরে তা মিটে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।