প্রয়াত ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম

ফাইল চিত্র

অকাল প্রয়াণে স্তব্ধ মুর্শিদাবাদ। না ফেরার দেশে চলে গেলেন ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম। বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৯ বছর। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বেশ কিছুদিন ধরেই গুরুতর শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তৃণমূলের এই জনপ্রিয় নেতা।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন জাফিকুল ইসলাম। সেই সময় দ্রুত তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। চিকিত্‍সকদের চেষ্টায় কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও পুরোপুরি স্বস্তি মেলেনি। ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত চিকিত্‍সকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলেই থেমে যায় তাঁর জীবনদীপ।

তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শোকবার্তা জানিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর। তাঁর অকাল প্রয়াণে ডোমকলের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাও ভেঙে পড়েছেন। স্থানীয়দের কথায়, জাফিকুল ইসলাম ছিলেন অত্যন্ত সহজ-সরল ও জনপ্রিয় নেতা। মানুষের সুখ-দুঃখে সবসময় পাশে থাকতেন। স্থানীয় এক প্রবীণের কথায়, ‘এত অল্প বয়সে এমন একজন মানুষকে হারানো মেনে নেওয়া যায় না।’


উল্লেখ্য, ডোমকল কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হয়ে বিধায়ক হন জাফিকুল ইসলাম। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি মানুষের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ এবং উন্নয়নমূলক উদ্যোগই তাঁকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। তাঁর প্রয়াণে শুধু তৃণমূল নয়, গোটা মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক মহল হারালো এক পরিচিত মুখ।