বহরমপুরে প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতিকে মারধর, শূন্যে গুলি

প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি এবং তাঁর বন্ধুবান্ধবদের মারধরের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের মধুপুর এলাকার ঘটনা। শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চালানো হয়। ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বহরমপুর থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বহরমপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তরা পলাতক বলে খবর।

প্রহৃত মিঠু জৈন ওই এলাকার বাসিন্দা। পেশায় ব্যবসায়ী মিঠু প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি। রবিবার গভীর রাতে তিনি বাড়ির পাশের ক্লাবে বসেছিলেন। সেই সময় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী মোটরবাইক করে সেখানে আসে। প্রথমে বচসা হয়। পরে চেয়ার, পিস্তলে বাট ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাধা দিতে গেলে তাঁর বন্ধুও আহত হন। দুষ্কৃতীরা শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় বলেও অভিযোগ। চিৎকার শুনে এলাকার লোক ছুটে আসার আগেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

ঘটনায় গুরুতর জখম হন তৃণমূল নেতা মিঠু জৈন, দেবজ্যোতি রায়-সহ তিনজন। চিকিৎসার জন্য তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। মিঠুর মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে। মিঠু জৈন বলেন, ‘হঠাৎ করে দেখলাম কিছু ছেলে আসে, আমি চিনি প্রায় সবাইকে। ওরা হঠাৎ করে এসে গুলি চালায়। আমি তৃণমূল করি, ওরাও করে। কিন্তু এমন তৃণমূল কখনও করিনি। আমরা তিনজন গুরুতর জখম হয়েছি। মাথায় পিস্তলের বাট দিয়ে মেরেছে।’


বহরমপুর টাউন তৃণমূলের যুব সভাপতি পাপাই ঘোষ বলেন, ‘মিঠু জৈন একসময় তৃণমূল করতেন। এখন বিজেপির হয়ে কাজ করেন। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর বহরমপুর সফরের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানানো হয়। সেই সময় মধুপুরের বাবুল বোনার ক্লাবে বসেছিলেন মিঠু জৈন ও তার দলবল। তৃণমূল কর্মীদের ওই রাস্তায় যেতে দেখে অশান্তি শুরু করেন মিঠু এবং তাঁর দলবলের লোকজন। স্থানীয়রাই তার প্রতিবাদ করেন।’ তৃণমূল কর্মীরা কেউ মিঠু জৈনকে মারধর করেনি বলে দাবি পাপাইয়ের।