মালদহে লিচুবাগান পাহারা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ যুবক

প্রতীকী চিত্র।

লিচুবাগান পাহারা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন এক যুবক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি মালদহের কালিয়াচকের মজমপুর থানা এলাকার। আহত যুবকের নাম করিম খান। তিনি বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুষ্কৃতীরা পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

আহতের পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার রাত দশটা নাগাদ বাড়ির পাশেই লিচু বাগানে কাজ করছিলেন করিম খান। সেই সময় কেউ বা কারা এসে তাঁকে গুলি করে চম্পট দেয়। এদিকে দীর্ঘক্ষণ করিম বাড়িতে না আসায় খোঁজ শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর পরিবারের সদস্যরা লিচু বাগানে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে করিম। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

কে বা কারা করিমকে গুলি মেরেছে, সে ব্যাপারে ধোঁয়াশায় রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁর সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না বলেই দাবি বাড়ির লোকজনের। দিন কয়েক আগেও রাতের অন্ধকারে এক তৃণমূল নেতাকে দুষ্কৃতীরা তাড়া করে এভাবেই গুলি চালিয়েছিল। গুলি আঘাতে মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল নেতার।


মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু বলেন, ‘কালিয়াচকের মজমপুরে শুট আউটের ঘটনা কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়। পুলিশ প্রশাসন অত্যন্ত তৎপর রয়েছে। যাঁরা অপরাধী, পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করছে। বাংলাকে রাজনৈতিকভাবে অশান্ত করার জন্য পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে অস্ত্র আনা হচ্ছে। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।’ দক্ষিণ মালদা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি অবশ্য পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।