এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ২০ বছরের সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক। বর্ধমানের পকসো আদলতে ওই মামলা বিচারাধীন ছিল। যুবকের বিরুদ্ধে ওই সাজা ঘোষণার পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। অনাদায়ে আরও তিন মাস জেলে থাকতে হবে। এর পাশাপাশি নির্যাতিতা ওই শিশু কন্যাকে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবার কথাও জানানো হয় আদালতের পক্ষে। পকসো আদালতের বিচারক দেবশ্রী হালদার ওই সাজার কথা শুনিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২২ জুন রাতে ঘটনাটি ঘটেছিল। শিশুটির বাবা মা একতলার ঘরে আত্মীয় পরিজনদের নিয়ে খাওয়াদাওয়া করছিলেন। দুটি শিশু দোতলায় ঘুমোচ্ছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটায় শিশু দুটির কান্নার আওয়াজ পাওয়া যায়। দেখা যায় সেই ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। তারপর ঘরের লোকজন দরজা ভেঙে ফেলেন। দুজনকে বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া যায়। বিছানায় রক্তের দাগ ছিল। দুই শিশু ঘটনার কথা জানায় পরিবারের সকলকে। এই সময় অভিযুক্ত যুবক ভিম ওরফে অনুপ মালিককে হাতে নাতে ধরা হয়। পরে ওই দুই শিশুর মধ্যে এক শিশুর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ যুবককে গ্রেপ্তার করে। এতদিন জেলে থাকার পর এদিন তার সাজা ঘোষণা হলো।
এই মামলার সরকারি আইনজীবী গৌতম মুখোপাধ্যায় জানান, ঘটনার সময় অভিযুক্তের বয়স ছিল ১৯। তার কম বয়সের কথা রায়ে উল্লেখ করেছেন বিচারক। যদিও ওই মামলায় আরও এক শিশুর উপর নির্যাতনের অভিযোগ ছিল। কিন্তু মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী তার কোন প্রমাণ মেলেনি। এদিকে শিশুটিকে ক্ষতিপূরণ দেবার বিষয়ে জেলা আইনি কর্তৃপক্ষকে সব রকমের ব্যাবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।