আরামবাগের দ্বারকেশ্বর নদের উপরে ভেঙে পড়েছে রামকৃষ্ণ সেতুর রেলিংয়ের একাংশ। শনিবার গভীর রাতের এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। বিপদ এড়াতে সেতুর উপর দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। পাঁচদিন আগে এই সেতুর উপর দিয়েই গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। শনিবার তার একাংশ ভেঙে পড়ে নদে। এই সেতুটি পাঁচটি জেলার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম। তাই পুরোপুরি সেতুটি বন্ধ করা হলে বা ভেঙে পড়লে যোগাযোগ বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
গভীর রাতে সেতুর রেলিং ভাঙার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সেতুর ভাঙা অংশটুকু ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুর্ঘটনা রুখতে সেতুতে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী। এই সেতু দিয়ে প্রচুর বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করত। আপাতত তা করা যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, এই সেতু বন্ধ হলে পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ ৫টি জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রভাবিত হতে পারে।
স্থানীয়দের দাবি, সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ঠিক মতো হয় না। এর জন্য প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন তাঁরা। সেতু মেরামতির আগে দ্রুত অন্য একটি সেতু নির্মাণের আবেদন জানানো হয়েছে। কারণ বিকল্প পথ না করলে সমস্যায় পড়বেন নিত্যযাত্রীরা। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অতি দ্রুত ভেঙে পড়া অংশটি মেরামত করা হবে। পাশাপাশি সেতুটি স্বাস্থ্য পরীক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। রবিবার নবান্ন থেকে পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা এসে পরীক্ষা শুরু করেছে। ব্রিজের তলার অংশও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন এই দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছেন ইঞ্জিনিয়ররা।
উল্লেখ্য, প্রায় ছয় দশক আগে রামকৃষ্ণ সেতু তৈরি হয়। উদ্বোধন করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেন। সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেলার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এই সেতুর উপর দিয়েই গাড়ি করে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়। এর পাঁচদিনের মধ্যে ব্রিজের অংশ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটল।