বন্ধুকে পরিকল্পিতভাবে খুন করার দায়ে মুর্শিদাবাদের কান্দি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। একই সঙ্গে বিচারক ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন এবং জরিমানা না দিলে আরও এক মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর ভোরে মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানা এলাকায় ৪৭ বছর বয়সী কাজল দত্ত নিহত হন। প্রাতর্ভ্রমণে বের হওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশী ও বন্ধু সুমন্ত সেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্ধিপুরের বিল পার হওয়ার সময় কাজলের ওপর সুমন্তের পরিকল্পিত আক্রমণ চালানো হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপ দেওয়া হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কাজলের স্ত্রী। তদন্তে নেমে পুলিশ সুমন্তকেই গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। এরপর মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের ‘ট্রায়াল মনিটরিং সেল’-এর বিশেষ নজরদারিতে দ্রুত মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্যবসায়িক স্বার্থে সুমন্তের পরিকল্পনায় বন্ধুকে খুন করা হয়।
ফরেন্সিক রিপোর্ট এবং সাক্ষীদের বয়ানের ভিত্তিতে আদালতে প্রমাণিত হয় যে, সুমন্ত পরিকল্পিতভাবে কাজলকে খুন করিয়েছেন। আদালত তাঁকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। সরকারি আইনজীবী সুনীল চক্রবর্তী বলেন, ‘বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে পিছন থেকে ছুরি বসিয়ে কাজলকে হত্যা করা হয়েছিল। আদালত সমস্ত প্রমাণ বিবেচনা করে অভিযুক্তকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছে।’ কান্দি মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সাশ্রেক আম্বাদর জানিয়েছেন, ‘সঠিক মনিটরিং ও পুলিশের তৎপরতার ফলে দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।’