কুড়ুল দিয়ে মাকে কোপ, অবশেষে আত্মসমর্পণ মানসিক অবসাদগ্রস্ত ছেলের

মানসিক অবসাদ থেকে নিজের মাকেই কুড়ুল দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে তেহট্ট থানার বেতাই দক্ষিণ জিতপুর এলাকায়। আগে থেকেই মানসিক সমস্যা ছিল অভিযুক্ত ছেলের। তার মধ্যে নতুন কেনা অটো চালিয়ে ব্যবসা ভালো চলছিল না। অনুমান, এই অবসাদ থেকেই মায়ের সঙ্গে তাঁর ঝামেলার সূত্রপাত । আর তারপরই বুধবার মধ্যরাতে মায়ের উপর হামলা চালান তিনি। হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধা মায়ের।

সূত্রের খবর, মৃতের নাম অর্চনা দাস। তিনি তাঁর ছেলের সঙ্গেই থাকতেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, ছেলেটির মানসিক সমস্যা রয়েছে। সম্প্রতি তিনি একটি নতুন অটো কিনেছিলেন। কিন্তু সেই ভাবে ভাড়া পাচ্ছিলেন না। এর ফলে তাঁর মানসিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। অনুমান, এই নিয়েই মায়ের সঙ্গে অশান্তি হয় তাঁর। আর তারপরেই বুধবার রাতে ঘুমন্ত মায়ের উপর কুড়ুল নিয়ে হামলা করেন তিনি। একের পর এক কোপ মেরে পালিয়ে যান।

যাওয়ার সময় নতুন কেনা অটোতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে যান। প্রতিবেশীরা আগুন দেখে আর চিৎকার শুনে ছুটে এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধা। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতলে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।


অন্যদিকে, ছেলে প্রথমে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও পরবর্তীতে কুড়ুল নিয়ে ট্রাফিক গার্ড অফিসে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁকে তৎক্ষণাৎ আটক করে পুলিশ। তাঁরা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। ছেলের মানসিক অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।