প্রেমে প্রত্যাখ্যান, অপহরণ করে ছাত্রীকে খুন প্রেমিকের

অভিযুক্ত প্রনজিৎ মণ্ডল

নদিয়ার তাহেরপুর। প্রেমে প্রত্যাখ্যান হন প্রেমিক। প্রতিশোধ নিতে রাস্তা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে স্কুলছাত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে তাহেরপুর থানার শ্যামনগর এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার মামার বাড়ি যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল স্কুলছাত্রী। সেই সময় প্রনজিৎ মণ্ডল নামে ওই যুবক তাকে ডাকে। এরপরই রাস্তার উপরেই বচসায় জড়িয়ে যায় দু’জন। অভিযোগ, এরপরেই মেয়েটিকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে ওই যুবক। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে মেয়েটি। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় বাড়ি না ফেরায় মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে ছাত্রীর পরিবার। না পেয়ে তাহেরপুর থানায় অভিযোগ করে ছাত্রীর পরিবার।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ পাওয়ার পর রাত ১টা নাগাদ ছাত্রীর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পরিত্যক্ত গোয়ালঘর থেকে ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। রাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাহেরপুর থানার শ্যামনগর এলাকাতেই দুজনের বাড়ি। প্রেম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় উত্যক্ত করত যুবক, দাবি পরিবারের। তার জেরেই হামলা চালায় ওই তরুণ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই তুমুল শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে তাহেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই অভিযুক্ত ছেলেটিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরিবারের ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ, যখন এই প্রনজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল তখন তার দুই হাত রক্তাক্ত ছিল। তাই এলাকার মানুষ তার উপরেই সন্দেহ করছিল। পরিবারের আরও অভিযোগ, এই প্রনজিৎ মণ্ডল মাঝেমধ্যেই উত্যক্ত করত ওই দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে। এই অভিযুক্ত যুবক ওই দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে ভালবাসত। তবে ছাত্রীর পক্ষ থেকে কোনও সাড়া না পেয়েই এই খুন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ঘটনা সামনে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে দশম শ্রেণীর ছাত্রীর পরিবার। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে তাহেরপুর থানার পুলিশ। এদিন ওই ছাত্রীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয় রানাঘাট পুলিশ মর্গে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তাহেরপুর থানার পুলিশ।