বছর পাঁচেক আগের কথা। চাকরির লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রথমে নির্যাতন ও পরে গলা কেটে খুন করা হয় এক মহিলাকে। সেই ঘটনার বিচার হয়েছে শুক্রবার। তিনজন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে বারুইপুর মহকুমা আদালত।
পাঁচ বছর আগে অক্টোবর মাসে জয়নগর এলাকার মানুষজন ভয়াবহ এক খুনের ঘটনার সাক্ষী ছিল। এলাকারই একটি ড্রেন থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক মহিলার কাটা মুণ্ডু। আর দেহটিও পড়ে ছিল অনতিদূরেই। ভয়াবহ সেই দৃশ্য দেখে চোখ বুজেছিল অনেকেই। তদন্তে উঠে আসে একের পর এক তথ্য। জানা যায়, মহিলাটির নাম আলেয়া নস্কর। করোনার সময় কাজ হারিয়ে ফেলায় তিনি চাকরির খুঁজে করছিলেন। সেইসময় অভিযুক্তদের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। তিনজন পরিকল্পনা করে ওই মহিলাকে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে এনেছিলেন। তারপর তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন করে খুন করে দেয় তিন অভিযুক্ত।
দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে ফরমান লস্কর, আতিয়ার রহমান ও মনিরা খাতুন নামক তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। জানা গিয়েছে, আদালতে যাতে সাক্ষীরা যথাযথ প্রমাণ না দিতে পারে সেই জন্য তাঁদের হুমকিও দিয়েছিলেন ধৃতরা। ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর সব তথ্য, প্রমাণ, বয়ান খুঁটিয়ে দেখে তারপর অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত।