মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় নিজের পায়ে দাঁড়াতে আখের রস বিক্রি করছেন হাওড়ার তরুণী ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী সুস্মিতা বড়াল। নিজের ব্র্যান্ডকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যেই এই কাজ করছেন তিনি। তবে আপাতত একটি ছোট স্টল খুলেই কাজ শুরু করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণাতেই তিনি এই কাজ করার সাহস পেয়েছেন। কারণ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কাজ ছোটো হোক। একদিন তা বড় হবেই। মমতার এই কথাই মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন সুস্মিতা।
সুস্মিতা নিজের স্টলের নাম দিয়েছেন ‘জিভ সিপ’। পরবর্তীকালে এই নামেই নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করে সফল ব্যবসায়ী হতে চান তিনি। সেই স্বপ্নকে বাস্তব করতেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন সুস্মিতা। এই কাজে তাঁকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছেন মমতার কথা। প্রায় ১ বছর আগে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের রিং রোডের পাশে তিনি ওই স্টলটি চালু করেছিলেন। সুস্মিতা ব্যান্ডেলের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন। মূলত পড়াশোনার খরচ জোগার করতেই নিজে থেকে এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। পাশে পেয়েছিলেন পরিবার ও বন্ধুদের।
তবে শুধু সাধারণ আখের রস নয়। স্টলে পাওয়া যাচ্ছে অনেক রকম সরবত। এছাড়াও আখের রসের সঙ্গে আম বা আনারসের পাল্প মিশিয়ে ফিউশনও তৈরি করছেন সুস্মিতা। গরমে আখের রসের প্রচুর চাহিদা থাকে। বর্তমানে বিভিন্ন মলেও আখের রস পাওয়া যাচ্ছে। তাই আখের রস দিয়ে নতুন ব্যবসা করার কথা ভাবছেন সুস্মিতা। পরবর্তীকালে নিজের ব্র্যান্ড তৈরির স্বপ্ন সাজাচ্ছেন তিনি।
সুস্মিতার স্টলের সামনে একটি ব্যানারে আখের রস পানের যাবতীয় শারীরিক গুণাবলি লেখা রয়েছে। পরিছন্নতা বজায় রাখতে তিনি হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক ব্যবহার করছেন। আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে আখের রস তৈরি করছেন তিনি। তাঁর স্টলে বেশ ভিড়ও হচ্ছে। প্রথম প্রথম অনেক কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু কোনও কিছুতেই তিনি দমে যাননি। তবে গরমে দ্রুত বাড়তে থাকে ভিড়। লাভের মুখ দেখতে শুরু করেন তিনি। বর্তমানে প্রতিদিনে প্রায় ৭০০ টাকার আখের রস বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুস্মিতা। তাঁর কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় আজকের প্রজন্মকে কিছু কাজ শুরু করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য উৎসাহ দেন। কাজ ছোটো হোক। একদিন তা বড় হবেই। আমিও বিশ্বাস করি সেটা।’