স্ত্রীর মুখটা দেখতে ভারী সুন্দর, নাকটাও খুব ভালো লাগে! হামেশাই নাকি এসব বলতেন স্বামী। ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীর সেই সুন্দর নাক কামড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। নদিয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বেরপাড়া এলাকায় ঘটেছে এই নৃশংস ঘটনা। পুলিশ মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম বাপন শেখ।
পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবারের তরফে ইতিমধ্যেই লিখিতভাবে অভিযোগ করেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাপনের সঙ্গে গত নয় বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় মধু খাতুনের। তাঁদের একটি আট বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে। এত বছর ধরে সংসার ভালোই চলছিল তাঁদের। স্বামী মাঝেমধ্যেই নাকি তাঁর স্ত্রীর মুখের প্রশংসা করতেন। বিশেষত স্ত্রীর নাকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন স্বামী।
অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার যখন স্ত্রী ঘুমোচ্ছিলেন, রাতে আচমকা তাঁর নাকে কামড় দেন বাপন শেখ। শুধু কামড়ই নয়, একেবারে নাক ছিঁড়ে খেয়ে নেন তিনি। আচমকা জ্বালা যন্ত্রণায় ঘুম ভেঙে ছটফট করতে থাকেন স্ত্রী মধু খাতুন।এরপর স্বামীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু বাপন ফের স্ত্রীর আঙুল কামড়ে দেন বলে অভিযোগ।
মধুর দাবি, সেই সময় ঘর থেকে কোনওরকমে বাড়ির বাইরে পালিয়ে আসেন তিনি। এরপর তিনি শান্তিপুর থানায় তাঁর স্বামী বাপন শেখের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিবার তাঁকে রানাঘাট আদালতে তোলা হয়।
মধু খাতুন আরো বলেন, আমার স্বামী মাঝেমধ্যেই মদ্যপান করত। এরপর বলতো তোর মুখটা এত সুন্দর কেন? নাকটা আরও সুন্দর। তাই আমি নাকটা কামড়ে খেয়ে নেব। সেই কারণেই আচমকা রাতে এই ঘটনা ঘটায় আমার স্বামী। যেহেতু আমার মুখ সুন্দর, তাই অ্যাসিড মারার হুমকিও দিয়েছিল স্বামী।