হরিচাঁদ-গুরুচাঁদের আদর্শে বিশ্বাসী সরকার মতুয়াদের উন্নয়ন করেছে : রথীন

ফাইল চিত্র

‘হরিচাঁদ ঠাকুর এবং গুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ ও উদ্দেশ্যকে সফল করতে আমরা সচেষ্ট হব, বার্তা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের। উল্লেখ্য, মধ্যমগ্রাম পুরসভার অন্তর্গত ১৭নং ওয়ার্ডের নিউখুলনাপল্লীতে ‘বটতলা মন্দির কমিটি’র পক্ষ থেকে মতুয়া মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল শনিবার। এই মহোৎসবেই প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক রথীন ঘোষ। এদিনের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শের প্রতি বারংবার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন তিনি। উপস্থিত দলপতি, গোসাঁই থেকে আপামর ভক্তবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়ে বিধায়ক বলেন, ‘হরিচাঁদ ঠাকুর এবং গুরুচাঁদ ঠাকুরের আত্মবলিদান ভোলার নয়, তাঁদের সমাজ সংস্কারে যে অবদান তা আমাদের বারংবার অনুপ্রাণিত করে।’ এদিন রথীনের ক্ষুদ্র বক্তব্যে উঠে এসেছে বনগাঁ তথা তৎসংলগ্ন অঞ্চলে মতুয়াদের উন্নতির কথা, তাঁদের সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা।

এরপরই রাজ্য সরকারের কার্যের খতিয়ান তুলে মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘প্রতিবছর বারুনির মেলায় লক্ষাধিক মানুষ যান, মতুয়া উৎসবে অসংখ্য ভক্তরা অংশগ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় হরিচাঁদ ঠাকুর এবং গুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শে বিশ্বাসী বলেই সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য তিনি অগণিত কাজ করে চলেছেন। হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ও তৈরি হয়েছে যাতে সেখানকার ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের আদর্শকে আরও বেশি করে অনুধাবন করতে পারেন।’ অবশেষে তিনি বলেন, ‘হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের যে মূল উদ্দেশ্য ছিল, তা যেন আমরা সফল করতে পারি, এই শপথ নেওয়া হোক। দলপতি থেকে গোসাঁইদের বলবো, বিরাট আয়োজনে অথবা কর্মযজ্ঞে যদি সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েও থাকে তাহলে সেটি ইচ্ছাকৃত নয়।’ এদিনের অনুষ্ঠানে রথীন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ, পৌরপ্রতিনিধি রাধারানী দত্ত-সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। এদিনের মহোৎসবে জনসমাবেশ হয়েছিল চোখে পড়ার মত।