জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের পদে প্রাক্তন বিধায়ক এটিএম আব্দুল্লাহ

---এটিএম আব্দুল্লাহ

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি দপ্তরের নতুন কর্মাধ্যক্ষ হলেন বসিরহাট উত্তরের প্রাক্তন বিধায়ক এটিএম আব্দুল্লাহ। শুক্রবার এই সংক্রান্ত বৈঠকের পর নতুন কর্মাধ্যক্ষের নাম ঘোষণা করেছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। নতুন পদে আসীন হয়ে আগামী দিনে মানুষের স্বার্থে উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এটিএম আব্দুল্লাহ। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘প্রশাসনে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। এই গুরুদায়িত্ব নিয়ে এবং দলের নিয়ম, শৃঙ্খলা মেনে আগামী দিনে মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করব।’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতির বৈঠকের মাধ্যমে এবং নারায়ণ গোস্বামীর উপস্থিতিতে তৎকালীন জেলা পরিষদের বন ও ভূমি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদকে অপসারিত করা হয়েছিল। সর্বসম্মতি ক্রমে ৫-০ ভোটে ফারহাদকে অপসারণের কথা জানিয়েছিলেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ। অভিযুক্ত প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতির তিনজন সদস্য-সদস্যা। তারই প্রেক্ষিতে নিজ ভুলের মাশুল গুনতে হয়েছিল ফারহাদকে। এবার সেই পদে ‘অভিষেক’ হলো বসিরহাট উত্তরের প্রাক্তন বিধায়কের।

এ প্রসঙ্গে শুক্রবার নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘বন ও ভূমির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদের বিরুদ্ধে স্থায়ী সমিতির সদস্যরা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। সেই মতো আইন মেনে এদিন নতুন কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন করা হল। তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন, প্রশাসনের কাজে তাঁর অভিজ্ঞতাও রয়েছে। আমরা আশাবাদী আগামী দিনে এটিএম আব্দুল্লাহ-র হাত ধরে জনস্বার্থে উন্নয়ন হবে।’


উল্লেখ্য, জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে জমি দখল সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ ওঠায় চলতি বছরের শুরুতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। গ্রেফতারের পরই দল থেকে শেখ শাহজাহানকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। তবে জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে তাঁকে অপসারণ করা হয়নি এখনও। কিন্তু বর্তমানে শাহজাহান-শূণ্য পদ নিয়ে বিকল্প কিছু ভাবনাচিন্তা না করেই বন ও ভূমি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ পদ পূরণে তৎপরতা প্রদর্শন করলো দল। তাহলে মৎস্য কর্মাধ্যক্ষের পদ কবে সচল হবে? এ প্রসঙ্গে নারায়ণ বলেন, ‘শেখ শাহজাহান এখনও কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে অপসারিত হননি। তিনি দীর্ঘদিন অনুপস্থিত। একজন কর্মাধ্যক্ষ কতদিন অনুপস্থিত থাকলে তাঁর সদস্যপদ খারিজ হতে পারে সেটি সম্পূর্ণ আইনি বিষয়। কার্যনির্বাহী আধিকারিক হিসাবে জেলাশাসক এই বিষয়টি দেখছেন।’