মৃতদেহ সৎকারে অতিরিক্ত টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল সৎকার কর্মীদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি মালদহের সদুল্লাপুর মহাশ্মশানের। অভিযোগ, নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে মৃতের পরিবারদের কাছ থেকে। দাবিমতো টাকা না দিলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেলে রাখা হচ্ছে মৃতদেহ। সৎকার কর্মীদের দাদাগিরির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। তৃণমূল পরিচালিত শ্মশান কমিটির তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, বাড়তি টাকা দেওয়ার জন্য কারও উপর কোনও চাপ দেওয়া হয় না। কর্মীদের কেউ কেউ খুশি মনে কিছু টাকা দেন। মালদহ জেলা পরিষদ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জেলা পরিষদের অন্যতম সদস্য তথা কংগ্রেস নেতা শায়েম চৌধুরী জেলা পরিষদে অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ জানানো হয়েছে জেলাশাসকের কাছেও।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মালদহের সদুল্লাপুর মহাশ্মশানে সৎকারের জন্য জেলা পরিষদের নির্ধারিত টাকার থেকে বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। দাহ করার নামে রীতিমতো তোলাবাজি চলছে। শোকাহত পরিবারদের সঙ্গে চলছে দর কষাকষি। মনের মত টাকা না দিলে দেহ ফেলে রাখার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। চুল্লিতে দাহ করতে হলে সৎকার কর্মীদের দাদাগিরি সহ্য করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। উপায় না পেয়ে অনেকেই তাঁদের দাবিমতো অতিরিক্ত টাকা দিচ্ছেন। তারপরই সৎকারের কাজ শুরু হচ্ছে। মৃতের এক আত্মীয় জানান, শ্মশানে তাঁকে ৯৯৯ টাকার রসিদ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু নেওয়া হয়েছে ১৬০০ টাকা। কারও কারও কাছ থেকে ২-৩ হাজার টাকাও নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন শ্মশানের কর্মীরা। শ্মশান কর্মীদের একাংশের দাবি, তাঁরা বারবার বেতন বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন, কিন্তু বেতন বাড়েনি। তাই বাধ্য হয়ে টাকার অঙ্ক বাড়াচ্ছেন তাঁরা।