বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল ৪৫ বছরের এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঋষি বঙ্কিম নগরের ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম রাজেশ কয়াল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজেশের বাড়ি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন বারুইপুর থানায় এবং স্থানীয় কাউন্সিলর মোজাফ্ফর আহমেদকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেখা যায়, বাড়ির সামনের গ্রিলের দরজা ভিতর থেকে তালাবন্ধ। এরপর পুরসভার কর্মীদের ডেকে শাবল ও হাতুড়ি দিয়ে দরজার তালা ও গ্রিল ভেঙে ঘরে ঢোকে পুলিশ। ভিতরে ঢুকতেই মেলে রাজেশের পচাগলা দেহ।
রাজেশের আত্মীয় রতন সর্দারের দাবি, কয়েক দিন আগে এসআইআর-এর ফর্ম জমা দেওয়ার বিষয় নিয়ে এক ব্যক্তি রাজেশকে ডাকাডাকি করেছিলেন। কোনও সাড়া না মেলায় তিনি চলে যান। দেহ উদ্ধারের পরে তাঁদের সন্দেহ, অন্তত ৮-৯ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে রাজেশের।
প্রতিবেশীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িতে একাই থাকতেন রাজেশ। কিছুদিন ধরে তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলেও দাবি তাঁদের। খুব একটা বাইরে বেরোতেন না এবং কারও সঙ্গে মেলামেশাও করতেন না তিনি। ফলে কয়েক দিন দেখা না মিললেও কেউ বিশেষ সন্দেহ করেননি।
রাজেশের বাবা-মা আগেই মারা গিয়েছেন। এক দাদা রয়েছেন, তিনি বর্তমানে বারুইপুরের ফুলতলায় থাকেন। ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রাজেশের আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।