মালদহের ইংরেজবাজারে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি-র ভবনের দখল নিয়ে সরব হলেন দলের এক প্রয়াত নেতার স্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে প্রয়াত বিশ্বনাথ গুহের স্ত্রী লক্ষ্মী গুহের গোষ্ঠীর সঙ্গে বর্তমান শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সঞ্জীব সাহার গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এই নিয়ে ইংরেজবাজারের এলাকার রথবাড়ি এলাকায় সকাল থেকেই উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা বর্তমানে তৃণমূল পরিচালিত ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ওদের দলের মধ্যে কী ঘটেছে, এটা আমার দেখার বিষয় নয়। একসময়ে আমি ও বিশ্বনাথ গুহ একসঙ্গে কাজ করেছি। যখন লেবার সেল গঠিত হল, সেই সময় সেখানে মাটি ভরাট করে ছোট্ট একটি ঘর তৈরি করেছিলাম আমরা। পরবর্তী সময়ে বিশ্বনাথ সভাপতি হওয়ার পর ওই জায়গায় অফিস করেছিল। তবে এটা বিশ্বনাথের একার কিংবা পৈতৃক সম্পত্তি নয়। ওঁর স্ত্রী যেটা দাবি করছেন, তা ঠিক নয়।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের প্রয়াত শ্রমিক সংগঠনের নেতা বিশ্বনাথ ১৮ বছর আগে খুন হন। তিনি বেঁচে থাকাকালীন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নামাঙ্কিত ওই কার্যালয় থেকে দলের কাজকর্ম পরিচালনা করতেন। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী গুহ জেলা আইএনটিইউসি-র কাজকর্ম দেখাশোনা করেন। তাঁকে একসময় সংগঠনের সভাপতি করা হলেও সেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সঞ্জীব রাহাকে। দলের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করেছেন, বর্তমানে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি আমরুদ জামান।
কিন্তু প্রয়াত নেতা বিশ্বনাথের স্ত্রী দলের এই নির্দেশ মানতে নারাজ। লক্ষ্মী জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর গোষ্ঠীর লোকজন কার্যালয়ের দখল ছাড়তে চান না। লক্ষ্মীর দাবি, ‘আমি এখনও সভাপতির পদে আছি। তা ছাড়া কার্যালয়টি আমার স্বামীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি। এটা কোনও দলের নয়।’ যদিও সঞ্জীব সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘আমরা কার্যালয়ে ঢুকতে গেলে লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয়। আমাদের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন।’
সোমবার সঞ্জীবের গোষ্ঠীর লোকেরা দলের কার্যালয় দখল করতে যান। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আহত হন দুই গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী।