অভিনব উপায়ে পথ নিরাপত্তার বার্তা বারাসত পুলিশের

বাইক আরোহীদের মাঝপথে থামিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিজ হাতেই তাঁদের পরিয়ে দিলেন হেলমেট। ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’-এর বার্তা পৌঁছে দিতে আরও একবার অভিনব উপায়ে শনিবার বারাসত হেলাবট তলা মোড়ে প্রচারাভিযান চালাল বারাসত পুলিশ জেলা। এই প্রচারাভিযানে উপস্থিত ছিলেন বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গী, বারাসাতের এসডিপিও বিদ্যাসাগর আজিঙ্ক অনন্ত, বারাসত ট্র্যাফিক পুলিশের ডিএসপি নিহাররঞ্জন রায়-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। প্রখর রৌদ্রে রাস্তায় কর্মরত ট্র্যাফিক পুলিশের পাশে থাকতে বারাসতের পুলিশের তরফ থেকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ছাতা এবং ওআরএস। সেই সঙ্গে বিনা হেলমেটে বাইক আরোহীদের মাঝ পথে দাঁড় করিয়েই ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’-র পাঠ দেন স্পর্শ নীলাঙ্গী। নিয়মমাফিক করা হয় ফাইনও। পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিজেই তাঁদের পরিয়েও দেন একটি হেলমেট।

এ প্রসঙ্গে স্পর্শ নীলাঙ্গী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘তীব্র গরমে আমাদের ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে এক ছোট্ট উদ্যোগ নিলাম আমরা। সেই সঙ্গে হেলমেট না পরে বাইক চালানো যে ট্র্যাফিক নিয়ম-বিরুদ্ধ, তাও বোঝানো হল। এই ভুল তাঁরা যেন দ্বিতীয়বার না করেন তাই ফাইনও করা হয়েছে।’ একটি বাইকে সর্বাধিক কতজন যাত্রা করতে পারেন? ট্র্যাফিক আইন তুলে এ প্রসঙ্গে তাঁর মত, ‘বাইক আরোহী এবং তাঁর একজন সহযাত্রী অর্থাৎ দুজনের বেশি বাইকে যাত্রা করা একেবারেই উচিৎ নয়। বাইকে তিন অথবা চারজন থাকলেই পুলিশ তাঁদের বাধা দেবে, কারণ এটি নিয়ম-বিরুদ্ধ। দুজনকে অবশ্যই হেলমেট পরিধান করতে হবে, এটি বাধ্যতামূলক।’ প্রখর রৌদ্রে ব্যস্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে এদিনের কর্মসূচিকে সফল করে বারাসত পুলিশ জেলা। উল্লেখ্য, বারাসত পুরসভার অন্তর্গত প্রত্যেক রাস্তায় কর্মরত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের হাতে এদিন ছাতা এবং ওআরএস তুলে দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।