ফের জমা জলে প্রাণ গিয়েছে দেড় বছরের এক ছোট্ট শিশুর। বৃহস্পতিবার সকালে মালদহের ভূতনিতে নন্দীটোলা গ্রামে বন্যার জলে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। ঘটনার সময় শিশুটির মা বাড়িতে ছিলেন না। শিশুটি চৌকির উপর খেলা করছিল। হঠাৎ করেই চৌকি থেকে নিচে পড়ে যায় ছোট শিশুটি। ঘরের জলেই ডুবে মৃত্যু হয় তার।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শিশুটির নাম সুমিত মণ্ডল। বাবা বিবেক মন্ডল কাজের সূত্রে দিল্লিতে থাকেন। মা সীমা মণ্ডল ও বোনের সঙ্গেই থাকত শিশুটি। বৃহস্পতিবার সকালে বোনের সঙ্গে চৌকিতে খেলা করতে করতে হঠাৎ করেই নিচে পড়ে যায় দেড় বছরের সুমিত। ঘরে জমে ছিল বন্যার জল। সেই জলে ডুবেই মৃত্যু হয় তার। ঘটনার সময় শিশুটির মা ডিলারের দোকানে মাসের রেশন আনতে গিয়েছিলেন। তিনি ঘরে ফিরে ছেলের অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানা গিয়েছে, এই এলাকায় বন্যার জলে ডুবে এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তা বাড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তাও। তবে স্থানীয়দের মধ্যে অন্যান্য শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটিতে একই ঘটনা ঘটে। ঘরের ভিতর বৃষ্টির জল জমে থাকায় রাতের বেলা খাট থেকে মেঝেতে গড়িয়ে পড়ে পাঁচ মাসের এক শিশু কন্যা। মেঝেতে জমা জলে ডুবে মৃত্যু হয় তার। উত্তর দমদম পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীনগর এলাকায় ঘটে এই ঘটনা। মেয়েটির নাম ঋষিকা। মৃত শিশুর বাবা পাপন ঘড়াই নিমতা থানার সিভিক পুলিশ হিসেবে কর্মরত। মালদহে ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায় বন্যার জল নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে।