জীবিত হয়েও ‘মৃত’ ও ‘নিখোঁজ’! খসড়া তালিকা ঘিরে বিভ্রান্তি

ছবিতে বাঁ দিকে ভীমচন্দ্র মণ্ডল ও ডানদিকে সারথী মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র

দু’জনেই জীবিত ও সুস্থ ভাবে নিজের বাড়িতেই বসবাস করছেন। অথচ পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) পর্বের পরে প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় তাঁদের এক জনকে দেখানো হয়েছে ‘মৃত’, আর এক জনকে ‘নিখোঁজ’ বলা হয়েছে। এই বিস্ময়কর ঘটনায় তীব্র বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ ছড়িয়েছে আসানসোলের বারাবনি বিধানসভার অন্তর্গত সালানপুর ব্লকে।

ঘটনাটি সালানপুর গ্রামের মাঝি পাড়ার। সেখানকার বাসিন্দা ৭০ বছরের ভীমচন্দ্র মণ্ডল এবং তাঁর ৮৮ বছরের দিদি সারথী মণ্ডল। পরিবারের সদস্যেরা খসড়া ভোটার তালিকায় নাম যাচাই করতে গিয়েই চমকে ওঠেন। তালিকায় ভীমচন্দ্র মণ্ডলের নামের পাশে লেখা রয়েছে ‘মৃত’, আর সারথী মণ্ডলের নামের পাশে উল্লেখ করা হয়েছে ‘নিখোঁজ’।

এই ভুল তথ্য ঘিরে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মণ্ডল পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, গত ২৮ নভেম্বর পরিবারের সকলেই এক সঙ্গে প্রয়োজনীয় ফর্ম পূরণ করে এলাকার ১৪৪ নম্বর বুথের বিএলও-র কাছে জমা দিয়েছিলেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের নাম খসড়া তালিকায় ঠিক থাকলেও, দুই প্রবীণ সদস্যের ক্ষেত্রে কী ভাবে এমন গুরুতর ভুল হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।


শুধু মণ্ডল পরিবারই নয়, একই বুথ এলাকার আর এক বাসিন্দা তন্দ্রা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের পাশেও খসড়া ভোটার তালিকায় লেখা রয়েছে ‘নিখোঁজ’ বলে। স্থানীয় সূত্রের খবর, খসড়া ভোটার তালিকায় আসানসোলের একাধিক এলাকায় এ ধরনের ভুল তথ্য নিয়ে একের পর এক অভিযোগ সামনে আসছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা ভোটার তালিকা সংশোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ায় এমন ভুল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বলে মনে করছেন। তাঁদের দাবি, দ্রুত এই ভুল সংশোধন করে প্রকৃত তথ্য নথিভুক্ত করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে ভোটাধিকার নিয়ে কোনও সমস্যা না হয়।