নাবার্ডের উদ্যোগে ১০ দিনের গ্রামীণ ভারত মহোৎসব শুরু নিউ টাউনে

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

নাবার্ডের পশ্চিমবঙ্গ আঞ্চলিক দপ্তরের উদ্যোগে নিউ টাউন মেলা গ্রাউন্ডে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হল ১০ দিনব্যাপী ‘গ্রামীণ ভারত মহোৎসব’। বৃহস্পতিবার উদ্বোধনের পর থেকেই প্রদর্শনী প্রাঙ্গণ ভরে উঠেছে দেশের নানা প্রান্তের গ্রামীণ শিল্প, ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প, পরিবেশবান্ধব উদ্ভাবন এবং কৃষিভিত্তিক পণ্যের বৈচিত্র্যে। আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই মেলা চলবে।

এই মহোৎসবে অংশ নিয়েছে ৭০টিরও বেশি স্টল। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের স্বনির্ভর গোষ্ঠী, কৃষক উৎপাদক সংগঠন, অফ-ফার্ম গ্রুপ এবং নানান গ্রামীণ উদ্যোক্তারা তুলে ধরছেন তাঁদের হাতে গড়া অনন্য সৃষ্টি— জৈব পণ্য, ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রশিল্প, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, বাঁশ-আখরোট সহ নানা প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি পরিবেশবান্ধব সামগ্রী। ক্রেতা-দর্শকদের ভিড়ে প্রথম দিনেই জমে উঠেছে স্টলগুলো।

আন্তর্জাতিক সমবায় বর্ষ উপলক্ষে নাবার্ডের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ ‘সমবায় প্রাঙ্গণ’। এখানে প্রাথমিক কৃষি ঋণ সমবায়, দুগ্ধ সমবায় এবং বহু-উদ্দেশ্যমূলক সমবায় সমিতির কাজ ও সাফল্য তুলে ধরা হচ্ছে আলাদা প্যাভিলিয়নে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সমবায় আন্দোলনের ভূমিকা কীভাবে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, সেই বার্তাই এখানে স্পষ্ট।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক পরিচালক সুধাংশু প্রসাদ বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতি, কৃষি ও ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে আরও শক্তিশালী করতে নাবার্ড দীর্ঘদিন ধরেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাঁর কথায়, ‘গ্রামীণ শিল্পী, কৃষক ও উৎপাদকদের আর্থিক উন্নয়ন এবং বাজার তৈরি— এই দুই দিকেই নাবার্ড যে ভাবে কাজ করছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসেই গ্রামীণ ভারত আরও শক্তিশালী হবে।’

নাবার্ড পশ্চিমবঙ্গের চিফ জেনারেল ম্যানেজার পি কে ভরদ্বাজ বলেন, ‘গ্রামীণ ভারত মহোৎসব শুধু একটি মেলা নয়, এটি আসলে এক আন্দোলন। গ্রামীণ ভারতের আত্মনির্ভরতার যাত্রা আরও দৃঢ় করতে নাবার্ড প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা চাই সকলে এই পরিবর্তন সাধকদের পাশে দাঁড়ান।’

মেলার আয়োজকরা জানিয়েছেন, আগামী দিনগুলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কৃষি-প্রযুক্তি কর্মশালা, গ্রামীণ স্টার্ট-আপ প্রদর্শনী এবং হস্তশিল্প সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও হবে। ফলে শুধুই কেনাকাটা নয়— শিক্ষা, সংস্কৃতি ও উদ্ভাবনের মিলনমেলার রূপ নিচ্ছে নিউ টাউনের এই আয়োজন।