দর্পণীর চতুর্থ মর্দল মঞ্জীর

সম্প্রতি দর্পণীর চতুর্থ মর্দল মঞ্জীর প্রোগ্রামটি ১৮ এবং ১৯ জানুয়ারীতে সংগঠিত হয়েছিল সত্যজিৎ রায় প্রেক্ষাগৃহে (আই.সি.সি.আর)। এটি দর্পণীর ৩০ তম বর্ষ। দর্পণীর চতুর্থ মর্দল মঞ্জীর এই শহর, দেশ এবং দেশের বাইরের শিল্পীরাও অংশগ্রহণ করছেন। ধীরে ধীরে এই মর্দল মঞ্জীর নৃত্যউৎসব শহর ও দেশের আঙিনা ছেড়ে বিদেশের লোকেদের ও নজরে আসছে। এবারের শিল্পীদের মধ্যে প্রথম দিনে ছিলেন প্রখ্যাত ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী এসএনএ যুব পুরস্কারপ্রাপ্ত শ্রী প্রবীণ কুমার, মণিপুরী নৃত্যে ছিলেন গুরু বিপিন সিংয়ের সুযোগ্য শিষ্য সঞ্জীব ভট্টাচার্য যিনি সম্প্রতি আমেরিকা নিবাসী। এছাড়াও রয়েছে দর্পণী-র নিজস্ব প্রযোজনা কৃষ্ণায় তুভ্যাং নমঃ এছাড়াও ছিল প্রায় ১০০ জন শিল্পী মিলিয়ে দর্পণীর ওডিসি নৃত্যানুষ্ঠান দর্পণীর ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা। নৃত্য পরিচালনা ও সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন বিশিষ্ট ওডিসি নৃত্যশিল্পী শ্রী অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়।

দ্বিতীয় দিনে প্রথমে ছিলেন প্রখ্যাত স্কলার ও নাট্যশাস্ত্র বিশারদ পিয়াল ভট্টাচার্য যিনি সঙ্গীত নাটক একাডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত, তার যে রিসার্চ ওয়ার্ক মার্গ নৃত্য সেটি নিয়ে আসছিলেন দিল্লির নবীন প্রতিভাবান নৃত্যশিল্পী আকাশ মল্লিক এবং তারপর ছিলেন মণিপুরী নৃত্যের কিংবদন্তি, সঙ্গীত নাটক একাডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত গুরু প্রীতি প্যাটেল। ছিলেন ওডিসি নৃত্যের বিখ্যাত গুরু এবং বিশ্ববরেণ্য সঙ্গীত নাটক একাডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত শর্মিলা বিশ্বাস। আর ছিল গুরু কেলুচরন মহাপাত্রের প্রাক শতবর্ষে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁরই বিশেষ তিনটি কম্পোজিশন নতুন ভাবে কোরিওগ্রাফি করে দর্পনীর নিজস্ব নিবেদন মর্দল মঞ্জীর নৃত্য উৎসবে। প্রথম দিনের অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় থেকেছেন প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী এবং আন্তর্জাতিক মানের শিল্পী সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় এবং দ্বিতীয় দিনের সঞ্চালনায় থেকেছেন তন্নী চৌধুরী। দুদিনের অনুষ্ঠানে আলোক সম্পাতে থাকছে সৌমেন চক্রবর্তী এবং শব্দ প্রক্ষাপনে ছিলেন শ্রী হাসি পঞ্চাল।