ডাকঘর এজেন্টদের থেকে বিমার জন্য আদায় করা হচ্ছে বেশি টাকা

প্রতীকী চিত্র

বেকার যুবকদের কাজের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে অনিয়মিত বিমা প্রিমিয়াম। এজেন্সি নবীকরণের সময় খামখেয়ালিভাবে নেওয়া হচ্ছে এজেন্টদের বিমার প্রিমিয়াম। সেই প্রিমিয়াম ক্ষেত্র বিশেষ প্রায় তিনগুণ বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, যে নির্ধারিত প্রিমিয়াম মাত্র ১০০ টাকা, সেখানে কোথাও কোথাও নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা। আবার যে প্রিমিয়াম মাত্র ২৫০ টাকা, সেখানে ক্ষেত্র বিশেষ নেওয়া হচ্ছে ৮০০ টাকা। প্রতিযোগিতার বাজারে ডাকঘরের এজেন্টদের সীমিত আয়ে এই অতিরিক্ত প্রিমিয়াম, তাঁদের কর্মক্ষেত্রে নাভিশ্বাস বাড়িয়েছে।

ডাকঘর সূত্রে জানা গিয়েছে, এজেন্ট হিসেবে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের প্রতি তিন বছর অন্তর এজেন্সি নবীকরণ করতে হয়। সেই নবীকরণের সময় প্রতিবারই একটি বিমা পলিসি কিনতে হয় এজেন্টদের। কিন্তু যে প্রিমিয়ামের অঙ্ক আগে থেকেই স্থির হয়ে রয়েছে, বিমা সংস্থার কর্মীরা বহু ক্ষেত্রেই তার চেয়ে বেশি অঙ্কের প্রিমিয়াম জমা করতে বাধ্য করছেন। ডাকবিভাগের এজেন্টদের দুই ধরনের এজেন্সি দেওয়া হয়ে থাকে। স্ট্যান্ডার্ডাইজড এজেন্সি সিস্টেমের জন্য ১০০ টাকা প্রিমিয়াম জমা হওয়ার কথা। আবার ২৫০ টাকা প্রিমিয়াম জমা হওয়ার কথা মহিলা প্রধান ক্ষেত্রীয় বচত যোজনার জন্য। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন অঙ্কের প্রিমিয়াম নেওয়া হচ্ছে। এই প্রিমিয়ামের উপর আবার জিএসটি প্রযোজ্য হয়। অভিযোগ, রাজ্যের নানা প্রান্তে ৩০০ থেকে শুরু করে ৮০০ টাকা পর্যন্ত প্রিমিয়াম নেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত ওই বিমার প্রিমিয়াম জমা করতে হয় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থায়। রাজ্যের অর্থ দপ্তরের আওতায় থাকা ক্ষুদ্র সঞ্চয় বিভাগ এজেন্সি প্রদান বা তার নবীকরণের দায়িত্ব সামলায়। এজেন্টদের বিমার প্রিমিয়াম জমা হওয়ার পরই তারা এজেন্সি প্রদান বা নবীকরণ করে থাকে। সেখানে বিমার অঙ্ক কত হবে, তা আগে থেকেই নির্ধারিত করা থাকে।


এ বিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল সেভিংস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রিমিয়ামের টাকা যে বেশি নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে অবগত আছে রাজ্যের ক্ষুদ্র সঞ্চয় বিভাগ। তারা সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থাকে গত বছরই এই বিষয়ে লিখিতভাবে সাবধান করেছে। ২০১৯ সাল থেকেই প্রিমিয়ামের কোনও পরিবর্তন হয়নি। তারপরও কোথাও কোথাও বেশি প্রিমিয়াম নেওয়া হচ্ছে। সেটা যাতে না হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে। তাদের দাবি, এ বছরও এজেন্টদের থেকে যেমন খুশি প্রিমিয়াম চাওয়া হচ্ছে। তাতে বিপাকে পড়ছেন হাজার হাজার এজেন্ট। যদিও সংশ্লিষ্ট সংস্থা এই বিষয়ে য়ে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।