বিশ্ববাজারে সোনার দামে সাম্প্রতিক উত্থান–পতন নিয়ে নতুন বিশ্লেষণ সামনে আসছে। আন্তর্জাতিক বিনোয়োগ সংস্থা জেফারিজের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, নিকট ভবিষ্যতে যদি সোনার দর কিছুটা কমে, তাহলে তা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের কাছে ‘সুযোগের দরজা’ খুলে দিতে পারে। বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা থাকার জন্য বিনোয়োগের ক্ষেত্রে সোনা যে আবারও এক নির্ভরতার জায়গা তৈরি করছে, তা স্পষ্ট বলে মনে করছে বহু দপ্তর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনোয়োগের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেও সোনা এখনও স্থায়ী সম্পদ হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার চাপ, মন্দার আশঙ্কা আর আন্তর্জাতিক অস্থিরতার মতো পরিস্থিতিতে বহু বিনিয়োগকারী নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ করছেন। এমন অবস্থায় সোনার দর সামান্য নামলে সেটাকে অনেকেই ‘সংগ্রহযোগ্য’ বলে মনে করছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক মাসে সোনার দামে দ্রুত বৃদ্ধি ঘটেছে। ফলে সামান্য সংশোধন স্বাভাবিক এবং বাজারের কার্যকর প্রবাহ বজায় রাখতে এটি প্রয়োজনীয়ও। দপ্তরের অভিমত, ‘দর কিছুটা নামলে বিনিয়োগকারীরা আবারও সক্রিয় হবেন। দীর্ঘমেয়াদে সোনা এখনও মূল্যবান সম্পদই।’ এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে যে, এটা কি বিনিয়োগের উপযুক্ত সময়?
এদিকে ভারতের বাজারে সোনার চাহিদাও এখনও শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই ধারা বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উৎসবের মরশুম এবং বিয়ের বাজারে সোনার প্রচলন আরও বাড়তে পারে।
সব মিলিয়ে সোনার বাজারে নতুন করে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে যে, এই সম্ভাব্য সংশোধন বিনিয়োগকারীদের ভাবনায় নতুন দিশা দেখাচ্ছে। অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময়ে সোনাকে কেন্দ্র করেই সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন অনেকে। এটাকেই ভবিষ্যৎ বাজারের স্বরূপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।