২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে সরকারকে ১০৯.৯৮ কোটি টাকা দিল বিএইচইএল

নিজস্ব চিত্র

রাষ্ট্রায়ত্ত ভারী শিল্প সংস্থা ভারতীয় ভারী বৈদ্যুতিক সংস্থা বা বিএইচইএল ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষের চূড়ান্ত লভ্যাংশ হিসেবে ভারত সরকারকে ১০৯ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা প্রদান করল। কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে এই অর্থ তুলে দেওয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার আর্থিক দায়বদ্ধতা ও লাভজনক অবস্থানের বার্তাই আরও একবার স্পষ্ট হল।

সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, সদ্য সমাপ্ত অর্থবর্ষে ব্যবসায়িক কর্মক্ষমতা উন্নত হওয়ায় এবং নগদের জোগান শক্তিশালী থাকায় এই চূড়ান্ত লভ্যাংশ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহণ, প্রতিরক্ষা এবং শিল্প পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিএইচইএলের প্রকল্পগুলি থেকে নিয়মিত আয় সংস্থার আর্থিক ভিতকে আরও মজবুত করেছে।

কর্তৃপক্ষের মতে, দেশীয় শিল্প পরিকাঠামো গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখাও সংস্থার অন্যতম লক্ষ্য। লাভজনক পরিচালনার ফলেই শেয়ারহোল্ডার হিসেবে ভারত সরকারকে এই পরিমাণ লভ্যাংশ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।


এদিকে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে এই লভ্যাংশকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য ভালো থাকলে তা সরাসরি সরকারি রাজস্বে সহায়তা করে। বিশেষ করে পরিকাঠামো ও শিল্প উন্নয়নে বড় বিনিয়োগের সময় এই ধরনের লভ্যাংশ সরকারের আর্থিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হয়।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএইচইএলের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার লাভ বৃদ্ধি এবং নিয়মিত লভ্যাংশ প্রদান সরকারি সংস্থাগুলির পুনরুজ্জীবনের দিকেই ইঙ্গিত করে। বিদ্যুৎ ও ভারী শিল্প ক্ষেত্রে নতুন প্রকল্প ও ‘অর্ডার বুক’ শক্তিশালী হলে আগামী দিনেও এই ধারা বজায় থাকবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

সব মিলিয়ে, ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষে ১০৯ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকার চূড়ান্ত লভ্যাংশ প্রদান বিএইচইএলের আর্থিক স্থিতি ও সরকারি অংশীদারিত্বের গুরুত্বকে আরও একবার সামনে এনে দিল।