জাতীয় শিক্ষানীতি মানি না, কেন্দ্রকে চিঠি দিলেন মমতা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

কেন্দ্রীয় সরকার ছাত্রছাত্রীদের গৌরব করার জায়গাটাই বন্ধ করে দিতে চাইছে। আমরা এই শিক্ষানীতি মানি না। চিঠি লিখছি কেন্দ্রকে। নয়া শিক্ষানীতি (২০২০)-এর অন্তর্ভুক্ত বিষয় হিসেবে মেধাতালিকা তুলে দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলােধােনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে প্রশ্ন তুললেন, সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় গুজরাতি ভাষায় প্রশ্নপত্র থাকলে, বাংলায় কেন থাকবে না? 

সােমবার রাজ্যের কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়ার অনুষ্ঠান ছিল। যেখানে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, জয়েন্ট এন্ট্রান্স ও মাদ্রাসা পরীক্ষার কৃতী ছাত্রছাত্রীদের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নবান্ন সভাঘরের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং একাধিক সরকারি আধিকারিক। মােট ৭৮৫ জনকে এদিন সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারে তরফে। 

এদিন নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, মেধা তালিকা না থাকলে তাে ছাত্রছাত্রীদের গৌরব, গরিমাও থাকবে না। মেধাতালিকা না থাকলে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের নিয়ে গর্ব করবে কীভাবে? কারণ রেজাল্টই ছাত্রীছাত্রীদের জীবনের সম্পদ। 


মমতার মতে, যে যেভাবেই পাশ করুক, একটা মেধাতালিকা থাকা প্রয়ােজন। এদিন বাংলার মেধার বিশ্বজোড়া সমাদরের কথা উল্লেখ করে কৃতী ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে নাম না করে বিজেপি এবং অন্য বিরােধীদের উদ্দেশে তীব্র সমালােচনা করে বলেন, কেউ কেউ বাংলার বদনাম করতে চাইছে। রাজনৈতিক স্বার্থে বাংলাকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে। তাদের আমি সমর্থন করি না।

কৃতী ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি পড়াশােনা করার ক্ষেত্রে কারও কোনও আর্থিক সমস্যা থাকে, রাজ্য সরকার তাদের সর্বতােভাবে সাহায্য করবে। 

এদিন জেলাশাসকদের উদ্দেশে মমতা বলেন, এমন কেউ যদি সমস্যা নিয়ে আসেন, তাহলে শিক্ষা সচিবকে পাঠাতে হবে। তাহলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। একই সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতির জন্য ছাত্রছাত্রীদের ভর্তিতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। 

এদিন মমতা ঘােষণা আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হবে। একটির নাম হবে ‘জয় হিন্দ বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং অন্যটির নামকরণ করা হবে বাবাসাহেব আম্বেদকরের নামে।