রাজ্যে শিশুদের চিকিৎসায় প্রায় সাড়ে চারশাে আইসিইউ বাড়ানাের সিদ্ধান্ত

প্রতিকি ছবি (Photo:SNS)

রাজ্যে গুরুতর অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসায় পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে বেড় বাড়ানাের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার এসএসকেএম-এ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করায় সিলমােহর পড়ল।

শুক্রবার রাজ্যের ২১ টি হাসপাতালে শিশুদের চিকিৎসার উপযােগী বেড বাড়ানাের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হল। এই মুহূর্তে এই বেডের সংখ্যা ২৪৪ থেকে বাড়িয়ে ৬৭৯ টি করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন এমনিতেই কোভিড পরিস্থিতির জন্য হাসপাতাল গুলির পরিকাঠামাে তৈরির কাজ শেষ করার জন্য তােড়জোড় চলছিল।

এরপর রাজ্যজুড়ে সম্প্রতি শিশুদের জ্বর হওয়ার জন্য এই কাজ আরও ততার সঙ্গে করার জন্য দিন জারি করেছে স্বাস্থ্য ভভন। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ এবং মালদহ মেডিকেল লেজ কোভিড আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তােলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।


এই নিয়ে মােট পাঁচটি হাসপাতালকে কোভিড আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য চিহ্নিত করা হল। এর আগে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে কোনও পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পি) বেড় ছিল না । উত্তরবঙ্গে শিশুদের একের পর জ্বর হওয়ার ঘটনার পরে এই হাসপাতালের জন্য ১২ টি পিকু বেড প্রস্তুত করার নির্দেশ জারি করা হল।

কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও ২৪ টি নতুন পিকু বেড তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া ডায়মন্ড হারবার, রামপুরহাট, পুরুলিয়া, রায়গঞ্জ হাসপাতালে ২৪ টি করে নতুন পিকু বেড প্রস্তুত করা হচ্ছে। কলকাতার সাতটি হাসপাতালে ২১৮ টি নতুন পিকু বেড বাড়ানাের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

এর মধ্যে এসএসকেএম হাসপাতালে ৪৪ টি এবং বিসিরায় শিশু হাসপাতালে ৭২ টি পিকু বেড় বাড়ানাে হচ্ছে। এর আগে রাজ্যে ১৫ টি হাসপাতালে শিশুদের জন্য ২৪৪ টি বেড় বরাদ্দ ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও ৪৩৫ টি বেড বাড়ানাের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

চলতি বছরে আগস্ট মাসেই বি সি রায় শিশু হাসপাতাল, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজকে কোভিড আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কোভিডের তৃতীয় ঢেউতে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সতর্কতা ছিল। সেই কারণে আগে থেকেই হাসপাতালে উৎকর্ষ কেন্দ্রের পরিকাঠামাে গড়ে তােলা হয়েছিল।

কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে জলপাইগুড়িসহ উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটতে থাকায় বাঁকুড়া এবং মালদহ মেডিকেল কলেজকেও শিশুদের চিকিৎসার জন্য উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তােলা হল।