ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় লকডাউনের বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করল রাজ্য

ঘূর্নিঝড় ইয়াস (Photo: IANS)

একদিকে করােনা অন্যদিকে তার দোসর হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আগেভাগেই সতর্ক হল রাজ্য সরকার। ইয়াস মােকাবিলায় যাতে কোনও ঘাটতি না থাকে তার জন্য খানিকটা লকডাউনের বিধি নিষেধে ছাড় দিল রাজ্য সরকার। এই নিয়ে রবিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় নবান্নের তরফে। 

যে জরুরি নির্দেশিকা এদিন জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে করােনা আবহে ইয়াসের কারণে চাষের কাজ, উদ্যান পালনের কাজেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে। কৃষি সংক্রান্ত যন্ত্রাংশ সেই সঙ্গে সার নিয়ে যাতায়াতের জন্য পরিবহনে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বন্যা, বর্ষা মােকাবিলার যাবতীয় কাজে কোনও বাধা নেই। 

যদিও এই সব ক্ষেত্রে মাস্ক, স্যানিটাইজার ও দূরত্ব বিধির উপর গুরুত্ব আরােপ করা হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত জেলায় এই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। 


উল্লেখ্য ঘূর্ণিঝড়ের আগে বিপর্যয় মােকাবিলায় নিজেই বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নিয়ে তিনি টুইটও করেছেন। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে যে সব জেলায় সেই সব জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সংস্থা সব কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংযােগ রেখে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

পশ্চিমবঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। বুধবার সকালে আছড়ে পড়বে এই ঝড়। মৌসম ভবনের তরফে বলা হয়েছে রবিবার সকাল ১১.৩০ মিনিটে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর এই নিম্নচাপ অবস্থান করছে। পাের্ট ব্লেয়ারের উত্তর- উত্তর পশ্চিমে ৫৬০ কিমি, পারাদ্বীপের পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্বে ৫৯০ কিমি এবং দিঘার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বে ৬০৭ কিমি দূরে অবস্থান করছে গভীর নিম্নচাপ। 

উত্তর ও উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হবে তারপর সােমবার সকালের মধ্যে ঘূণিঝড়ে পরিণত হবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় সেই ঝড় প্রবল আকার ধারণ করবে। এরপর এই ঝড় আরও শক্তিশালী হিসাবে বুধবার সকালে ওড়িশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের সাগরের মাঝখান দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা। ওই দিন সন্ধ্যায় স্থলভাগে আরও গতি নিয়ে আছড়ে পড়বে ইয়াস সেই সময় ঝড়ের গতি থাকবে ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিমি।