পুজোয় অষ্টমী থেকে দশমী ‘ভিলেন’ বৃষ্টি

প্রতীকী ছবি (Photo: iStock)

এবার পুজোয় অষ্টমী থেকে দশমীর দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে বলে পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপের কারণেই দুর্গাপুজোয় বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ষষ্ঠী ও সপ্তমীতে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভবনা কম। তবে অষ্টমী থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। অষ্টমী, নবমী ও দশমীতে কলকাতা, দুই পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া এবং হুগলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে পুজোর দিনগুলিতে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।

আবহাওয়া দফতর এও জানিয়েছে, হিমালয়ের পাদদেশ এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার প্রভাবে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। এরপর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে, পুজোর আগে রবিবার উত্তর আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


পরের চার-পাঁচ দিনে সেটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে ওড়িশার দক্ষিণ ও অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর উপকূলে পৌঁছবে। তার প্রভাবে পুজোয় বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। তাই পুজোয় হাতে ছাতা রাখবেন মনে করে। পুজোর প্রস্তুতিতেও খুব একটা অন্তরায় হবে না বৃষ্টি। যদিও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতেই পারে।

কিন্তু যেভাবে বারবার বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে, তাতে পুজোর দিনগুলো নিয়ে বেশ চিন্তায় বাঙালি। আশঙ্কা একটাই, পুজো আবার বৃষ্টিতে ভাসবে না তো! আশঙ্কায় পুজো উদ্যোক্তারাও। কয়েকদিন নাগাড়ে বৃষ্টির পর দিন তিনেক দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কিছুটা বৃষ্টি ধরেছে । তার মধ্যেই মঙ্গলবার দুপুরে আবার কলকাতা-সহ শহরতলি এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার ও মহালয়ার দিনও বৃষ্টি হয়েছে। আবার উত্তরবঙ্গেও ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বুধবার থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে পাহাড়, ডুয়ার্স, সমতলে। ভারী বৃষ্টি কমে তা হালকা থেকে মাঝারি হবে উত্তরবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায়।

আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। তার ফলে দক্ষিণবঙ্গে প্রচুর জলীয় বাষ্প প্রবেশ করেছে। যে কারণে উপকূলের জেলাগুলোয় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মহালয়ার ভোর থেকে। ছাড় পাচ্ছেনা কলকাতাও।

মহালয়ার দিন শহরের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকারই সম্ভাবনা। হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বর্ষা শুরুর এবং বিদায়ের সময় ভারী বৃষ্টি হয় না। জলীয় বাষ্প উপরে উঠে যায়। যার থেকে কিউমুলোনিম্বাস মেঘ তৈরি হয়। বাজ পড়ে বেশি। সেটাই হচ্ছে।