আজ মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

স্থানীয়দের সাথে দেখা করতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (Photo: IANS)

কি হবে বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দাদের ভবিষ্যৎ? সমস্যার সমাধান খুঁজতে আজ বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সােমবার তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৩ টে নাগাদ কলকাতা পুলিশ, কলকাতা পুরসভা এবং মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে একটি বৈঠক করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানাের সাধ্যমতাে চেষ্টা করবেন, এমনটাও আশ্বাস দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সােমবার সকাল থেকেই বউবাজার চত্বরে উপস্থিত হয়েছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন তারা। ঘটনাস্থলে যান নগরপাল অনুজ শর্মাও। এদিকে দুপুর ২ টো নাগাদ পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য লিখিত আশ্বাসের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। তাদের কথায়, এখনও পর্যন্ত মেট্রো রেলের তরফে কোনও লিখিত আশ্বাস দেওয়া হয়নি।

সােমবার সন্ধ্যে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এলাকাবাসীর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এদিন ১৫ দফা দাবি তাঁর সামনে রাখেন এলাকাবাসী। এই দাবিগুলির মধ্যে ছিল ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের অস্থায়ী আবাস যাতে এই এলাকার আশেপাশেই হয়, বাড়ির মধ্যে থাকা দরকারি কাগজপত্র বাইরে বার করে আনার ব্যবস্থা সহ আরও বেশ কিছু দাবি। বিষয়গুলি সম্পর্কে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরােধও জানান তারা।


এলাকাবাসীর কথা শােনার পর তাদের পাশে থাকার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এখনই বাড়িগুলিতে ঢােকা সম্ভব নয়। তবে সাধ্যমতাে এলাকাবাসীর পাশে থাকবে রাজ্য প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির দ্রুত সংস্কার অস্থায়ী আবাসন যাতে বাড়ির কাছে হয়, সেই বিষয়গুলি দেখার আশ্বাসও দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার বৈঠকে যােগ দিতে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষকে আমন্ত্রণ জানানাে হয়েছে। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ক্ষতিগ্রস্তদের একটি ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলও। এই ৪ জনের মধ্যে ২ জন হিন্দিভাষী এবং ২ জন বাংলাভাষী ব্যক্তিকে থাকতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, যাঁরা এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তাদের বক্তব্য শােনা প্রয়ােজন। তাই এই প্রতিনিধি দলকেও বৈঠকে নিজেদের দাবি দাওয়া ও বক্তব্য রাখতে দেওয়া হবে।

এদিকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, আগে কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষের তরফে এলাকায় মাটি পরীক্ষা করা হবে। এরপর সেই পরীক্ষার রিপাের্ট দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, এমনটাও জানান তিনি।