করােনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই সতর্ক হওয়া জরুরি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি (Image: Twitter/@narendramodi)

করােনার সংক্রমণ ক্রমশ বৃদ্ধি হওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বলেন, এখনই করােনা নিয়ে সতর্ক না হলে, গােটা দেশে ফের এর দাপট রােখা কঠিন হয়ে উঠবে।

যদিও সেই আলােচনায় উপস্থিত ছিলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী জানান, যে সব দেশে কোভিড থাবা বসিয়েছে, কোনও না কোনও সময়ে সেই সব দেশে আছড়ে পড়েছে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ। আর এই জায়গা থেকেই এ দেশে বাড়ছে উদ্বেগ।

কারণ দেশের বেশ কিছু রাজ্যে গত কয়েকদিনে উল্লেখযােগ্যভাবে বেড়েছে করােনা আক্রান্তের সংখ্যা। যার মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশ। ভ্যাকসিন আসার পরও হঠাৎ করেই কেভিড ১৯-এর উধর্বমুখী গ্রাফ নিয়ে মােদির বক্তব্য, করােনার দ্বিতীয় ঢেউ আটকাতে এখনই সতর্ক হতে হবে। তার জন্য যা যা পদক্ষেপ করার, তা করতে হবে।


কয়েক সপ্তাহে দেশের ৭০ টি জেলায় করােনার হার ১৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। তাই এখনই সতর্ক না হলে গােটা দেশে ছড়িয়ে পড়বে করােনা। কোভিড আক্রান্তদের চিহ্নিত করার জন্য আগে যে পরিমাণ টেস্টিং হত, সেই হারও আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে।

প্রশ্ন তুলে বলেন, কেন নানা এলাকায় টিকাকরণের হার এত কম? এর জন্য রাজ্যগুলিকেই কড়া হতে হবে বলে বার্তা মােদির। তিনি বলেন, করােনার সঙ্গে মােকাবিলা নিয়ে আমাদের আত্মবিশ্বাস যেন আত্মতুষ্টিতে বদলে না যায়। আমাদের সাফল্য যেন অবহেলায় না বদলে যায়।

এদিকে, বিমানে যাত্রীসুরক্ষার কথা মাথায় রেখে কঠোরতম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন। হাইকোর্টে জানিয়েছে, বিমানে লাগাতার মাস্ক পড়ে থাকার ঘােষণা করা হলেও যারা সঠিকভাবে মাস্ক পড়ছেন না, তাদের বিমান উড়ান নেওয়ার আগে নামিয়ে দেওয়া হবে। শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী যাত্রী হিসেবে গণ্য করা হবে।

করােনা সংক্রমণ প্রতিরােধ করতে ডিজিসিএ’র পদক্ষেপ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, বিমান যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কঠোর পদক্ষেপ বহাল থাকবে। হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণােদিত হয়ে মামলাটি শুরু করলেও ডিজিসিএ’র কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের পর মামলাটি বন্ধ করে দেওয়া হল।

অন্যদিকে, ভারত, পাকিস্তান, আমেরিকা সহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের চিনের ভূখন্ডে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি, আগত বিদেশিদের চিনের প্রস্তুত কোভিড টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চিনা দূতাবাসের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানাে হয়েছে, চিনা ভিসার আবেদনকারীদের চিনা কোভিড টিকা দেওয়া শুরু করা হবে। চিনে প্রবেশ করার পর সকলকে তিন সপ্তাহের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

নতুন প্রজন্মের করােনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হতেই মার্চ মাসের গােড়া থেকে বিদেশি নাগরিকদের বেশিরভাগকে দেশে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। চিনে করােনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা গেছে।

বিভিন্ন দেশে চিনা দূতাবাস থেকে নােটিশ ইস্যু করে জানানাে হয়েছে, ভিসা দেওয়া শুরু হবে নির্দিষ্ট মানুষকে চিনের তৈরি টিকা নিয়েছে। চাকরি, ব্যবসা ও পরিবারের সঙ্গে দেখার জন্য যারা চিনে যেতে চান, প্রত্যেককে ভিসা দেওয়া শুরু হবে– উল্লেখ্য, যারা চিনের প্রস্তুত টিকা নেবে তাদেরকেই ভিসা দেওয়া হবে।