রাজ্যের প্রথম গ্রামীণ পাবলিক ডেটা অফিস (পিডিও) চালু করল বিএসএনএল

আশির দশকের গোড়ায় আমজনতার কাছে সুলভে টেলি পরিষেবা পৌঁছে দিতে পাবলিক কল অফিস (পিসিও) চালু করেছিলেন ভারতের টেলিকম কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান শ্যাম পিত্রোদা সময়ের দাবি মেনে বর্তমানে ইন্টারনেট পরিষেবাকে স্বল্পমূল্যে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজন হয়েছে।

আর তা মেটাতেই ব্রডব্যান্ড সার্ভিসকে ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গ্রামীণ পাবলিক ডেটা-অফিস (পিডিও) চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা বিএসএনএল।

প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল ইন্ডিয়ার অন্তর্গত প্রাইম মিনিস্টার ওয়াইফাই অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস-এর ব্যানারে এই কর্মসূচি শুক্রবার এই রাজ্যে প্রথম পা রাখল।


বিএসএনএল এর পশ্চিমবঙ্গ টেলিকম সার্কল তার নিজস্ব বিজনেস এরিয়া হুগলি জেলার ধনিয়াখালি অঞ্চলের হাজিপুর গ্রাম এবং আসানসোল এর বিজনেস এরিয়া পানাগড় অঞ্চলের অনুরাগপুর গ্রামে ওয়াইফাই হটস্পট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে তাদের যাত্রা শুরু করল বিএসএনএল ডিজিটাল মাধ্যমে। এই গ্রামীণ পাবলিক ডেটা অফিস পিডিও-এ ওয়াই ফাই হটস্পট পরিষেবার সূচনা করলেন দিল্লির বিএসএনএল বোর্ড এর কর্মকর্তা বিবেক বনজাল।

উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ টেলিকম সার্কল-এর চিফ জেনারেল ম্যানেজার মধু অরোরা এবং তার সহযোগীরা। এই গ্রামীণ পাবলিক ডেটা অফিস এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন প্রত্যন্ত গ্রামের পড়ুয়া, কৃষক, ছোট ব্যবসায়ীরা।

বর্তমানে বিএসএনএল-এর নিজস্ব ওয়াইফাই হটস্পট সারা ভারতে বিস্তৃত। এই পরিষেবাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে গ্রামে গ্রামে হাইস্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা প্রসারিত করল বিএসএনএল।

নতুন এই পরিষেবায় ৫০-১০০ এমপিবিএস স্পিড পাবেন গ্রাহকরা। ১ দিনের ১ জিবি থেকে শুরু করে ৩০ দিনের ৩০ জিবি পর্যন্ত হাই স্পিড ডেটা পরিষেবা পাওয়া যাবে যথাক্রমে ৯ টাকা এবং ৬৯ টাকার বিনিময়ে।

এছাড়াও রয়েছে ১৯ টাকা, ৩৯ টাকা এবং ৫৯ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্ল্যান ডেটার পরিমাণ এবং কার্যক্ষম দিনের ওপর নির্ভর করে। কাদের মাধ্যমে এই পরিষেবা দেওয়া যাবে? জানা গিয়েছে, সংস্থার অন্তর্ভুক্ত ইচ্ছুক ফ্র্যানচাইজিরা কমিশনের মাধ্যমে এই কাজের দায়িত্ব পাবেন।

বর্তমানে ফ্র্যানচাইজিরা পাবলিক ওয়াই ফাই পার্টনার হিসেবে কাজ করছেন বিএসএনএল এর সংশোধিত ওয়াই ফাই পলিসিতে ভারতের সব সার্কেলে এই মডেল অনুযায়ী ওয়াই ফাই পার্টনার নিযুক্ত করা হয়েছে।

গ্রামীণ গ্রাহকদের স্বল্পমূল্যে ওয়াইফাই ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে। আর সূত্রে শুধু গ্রাহকদের পরিষেবার দেওয়াই নয়, নতুন করে কর্মক্ষেত্র প্রসারের পথে প্রয়াসী হল বিএসএনএল। এই করোনা আবহে যা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।