শ্যালকেকে সাত গোল দিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি শেষ আটে

চ্যাম্পিয়নস লিগ ফুটবলের কোয়ার্টের ফাইনালে উঠে গেল ইংল্যান্ডের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। প্রি কোয়ার্টের ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে তাড়া ৭-০ গোলে শ্যালকেকে হারিয়ে দিয়েছে। সার্জিও অ্যাগুয়েরো একাই দুটি গোল করেছেন। প্রথম লেগে ম্যান সিটি ৩-২ গোলে জিতেছিল। এবার মোট ১০-২ গোলের গড়ে জিতে তারা এটি হ্যাড স্টেডিয়ামে নজির গড়লো।

Written by SNS March 14, 2019 12:06 pm

ম্যানচেস্টার সিটির লিরয় শেনের গোল (Photo: Xinhua/Joachim Bywaletz/IANS)

ম্যানচেস্টার, ১৩ মার্চ – চ্যাম্পিয়নস লিগ ফুটবলের কোয়ার্টের ফাইনালে উঠে গেল ইংল্যান্ডের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। প্রি কোয়ার্টের ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে তাড়া ৭-০ গোলে শ্যালকেকে হারিয়ে দিয়েছে। সার্জিও অ্যাগুয়েরো একাই দুটি গোল করেছেন। প্রথম লেগে ম্যান সিটি ৩-২ গোলে জিতেছিল। এবার মোট ১০-২ গোলের গড়ে জিতে তারা এটি হ্যাড স্টেডিয়ামে নজির গড়লো। আর্জেন্টিনার ফরোওয়ার্ড সার্জিও অ্যাগুয়েরো পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যান সিটিকে ১-০ এগিয়ে দেওয়ার পর তাঁরই করা গোলে ম্যান সিটি ২-০ এগিয়ে যায়। তৃতীয় গোলটি করেছেন লিরয় শেন। বিরতির পর সিটির পক্ষে বাকি চারটি গোল করেছেন রহিম স্টারলিং, বার্নারডো সিল্ভা, ফিল ফডেন এবং গ্যাব্রিয়েল জেসাস। চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে এতবড় জয় সিটি আর পায়নি।

পেপ গুয়ার্দিওয়ালার দল ফেব্রুয়ারিতে লিগ কাপ জেতার পর এই মরশুমে নজিরবিহীন চতুর মুকুট জয় করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে। এই মুহূর্তে তারা ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে লিভারপুলের থেকে এক পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষে রয়েছে। এই সপ্তাহ শেষে এফএ কাপের কোয়ার্টের ফাইনালে তারা সোয়ান্সের মুখোমুখি হবে। শ্যালকে দলটির প্রতিরোধ বলে কিছু ছিল না। এর আগে ১৯৭০ সালে সিটি তাদের একমাত্র ইউরোপীয়ান ট্রফি কাপ উইনার্স কাপ জিতেছিল এই শ্যালকেকে হারিয়েই। দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় করেছেন গুয়ার্দিওয়ালা বার্সিলোনার কোচ হিসেবে। তিনি দাবি করেছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যান সিটি তো কিশোরের দল কারণ তাদের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ইউরোপীয়ান দলগুলিও এই টুর্নামেন্টে রয়েছে। কখনোও চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাতে না পারার আক্ষেপও গুয়ার্দিওয়ালার গলায় শোনা গেল। যদিও ফুটবল পণ্ডিতরা বলছেন, রিয়েল মাদ্রিদ এবং প্যারিস সেন্ট জারমেনের মতো দল চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর ম্যান সিটি অবশ্যই ফেভারিট। খেলোয়াড়দের এখন এই চ্যালেঞ্জে নিতে হবে যে তারা কোচ যা বিশ্বাস করেন তারচেয়ে অনেক বেশি পরিণত।

শ্যলকের বিরুদ্ধে ম্যাচে গুয়ার্দিওয়ালার দল বল দখলে রাখাটা একচেটিয়া করে ফেলেছিল। এমনকি আকাশে বল থাকার সময়ও তারা শ্যলকের ওপর প্রভুত্ব করে গিয়েছে। সার্জিও অ্যাগুয়েরোকে আলাদাভাবে তুলে ধরতে হচ্ছে কারণ এই নিয়ে টানা চারটি চ্যাম্পিওনশিপ ম্যাচে তিনি গোল পেলেন।