স্ট্রাইকের সময় এফ-১৬ বিমান ব্যবহার করেছিল পাকিস্তান

কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হানে ভারতীয় বায়ুসেনা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে জবাব দেয় পাকিস্তান। সে সময় যুদ্ধবিমান এফ-১৬ ব্যবহার করেছিল বলে দাবি ভারতের। পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, তারা ওই বিমান ব্যবহার করেনি। কিন্তু অভিযোগ যে মিথ্যে নয়, তার প্রমাণ আছে ভারতের কাছে। এবার এ বিষয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে কথা হয়েছে মার্কিন উপদেষ্টা জন বল্টনের।

Written by SNS March 7, 2019 1:54 pm

এআইএম ১২০ এএম-আরএএএম ক্ষেপণাস্ত্রের অংশ (Photo: IANS)

দিল্লি, ৬ মার্চ – কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হানে ভারতীয় বায়ুসেনা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে জবাব দেয় পাকিস্তান। সে সময় যুদ্ধবিমান এফ-১৬ ব্যবহার করেছিল বলে দাবি ভারতের। পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, তারা ওই বিমান ব্যবহার করেনি। কিন্তু অভিযোগ যে মিথ্যে নয়, তার প্রমাণ আছে ভারতের কাছে। এবার এ বিষয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে কথা হয়েছে মার্কিন উপদেষ্টা জন বল্টনের। এছাড়া এই দু’জন জইশ-এ-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রসংঘের ঘোষিত জঙ্গির তকমা দেয়া নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ভারত বেশ কিছুকাল ধরেই মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছিল রাষ্ট্রসংঘের কাছে। এবার আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সও একই দাবি করেছে। এই দুটি বিষয় ছারাও জঙ্গি হামলার পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সামগ্রিক ভাবে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা নিয়ে কথা বলেছেন দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টা। সেখানে দোভাল ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন বলে সরকারি সূত্রে খবর। এই এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাকিস্তানকে আমেরিকাই দিয়েছিল।

এদিকে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই ও তার ছেলে সহ মোট ৪৪ জন কট্টরপন্থী জঙ্গিকে আটক করেছে পাকিস্তান। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে তাদের আটক করা হয়েছে। পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে কয়েকটি সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে খবর। পাকিস্তান সরকারের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে আরও কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধেও তারা কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। সেই সংগঠনগুলির সঙ্গে জড়িত আছে এমন সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী আরও কয়েকটি এই ধরপাকড় চলবে। প্রসঙ্গত এই দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার মধ্যে আগেও বৈঠক হয়েছে। পুলওয়ামার হামলার পরেই বল্টন জানিয়েছিলেন, আত্মরক্ষার সমস্ত অধিকার ভারতের রয়েছে।