অস্বস্তি বাড়িয়ে উত্তরাখণ্ডে বিজেপি সাংসদ কংগ্রেসে

শনিবার উত্তরাখণ্ডের রাজধানী শহর দেরাদুনে এক জনসভায় বিজেপির লোকসভা সদস্য এবং উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি সি খান্ডুরির ছেলে মনীশ খান্ডুরি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

Written by SNS March 17, 2019 1:08 pm

মনীশ খান্ডুরি (Photo IANS)

উত্তরাখণ্ড, ১৬ মার্চ – শনিবার উত্তরাখণ্ডের রাজধানী শহর দেরাদুনে এক জনসভায় বিজেপির লোকসভা সদস্য এবং উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি সি খান্ডুরির ছেলে মনীশ খান্ডুরি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি কংগ্রেস দল আয়োজিত সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কঠোর সমালোচনা করে বলেন, উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি সি খান্ডুরিকে সংসদীয় সামরিক কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে কেন সরিয়ে দেয়াছেন তা দেশের মানুষের জানা উচিত। কারণ তিনি সারাজীবন সামরিক বাহিনীতে দেশের সেবায় কাজ করেছেন। সংসদীয় সামরিক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি নরেন্দ্র মোদি সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, সরকার দেশের নিরাপত্তা নিয়ে যেভাবে কাজ করছে তা মোটেই সন্তোষজনক নয়, সামরিক বাহিনীকে তেমনভাবে সাহায্য করা হচ্ছে না। নরেন্দ্র মোদি খান্ডুরিজির সময়োচিত মন্তব্যকে হজম করতে পারেননি। তাই তাঁকে সংসদীয় সামরিক কমিটির চেয়ারম্যানের থেকে অপসারিত করেন।

রাহুল বলেন, বিজেপিতে সত্যের কোনও জায়গা নেই। কারণ নরেন্দ্র মোদি সরকার ফ্রান্সের যুদ্ধ বিমান কেনার বিষয়ে তদন্তের যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনেরও বিরোধিতা করে সত্যকে চাপা দিতে চেয়েছে।

রাহুল তাঁর ভাষণে বলেন, নরেন্দ্র মোদি ফ্রান্সের যুদ্ধ বিমান রাফায়েল কেনার শর্ত হিসেবে অনিল আম্বানির সঙ্গে চুক্তি করার কথা বলেছিলেন। রাহুল জানান একথা ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্কোইস হলান্ডে প্রকাশ করে দিয়েছেন। রাফায়েল যুদ্ধ বিমান কেলেঙ্কারির বিষয়ে যাতে নিরপেক্ষ তদন্ত না হয় সেকারণে নরেন্দ্র মোদি সিবিআইয়ের প্রধান অলক বর্মাকে রাত দেড়টার সময় অপসারণের নোটিশ ধরানো হয়। পরিবর্তন সভায় রাহুল আরও অভিযোগ করেন, সামরিক চুক্তিতে ফ্রান্সের সঙ্গে ৫৯০০০ কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সরকার রাফায়েল যুদ্ধ বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা ডাসল্ট এভিয়েশনকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের সময়ে যে চুক্তি হয়েছিল তার অতিরিক্ত অর্থ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা ছিল। রাহুল অভিযোগ করেন, ইউপিএ আমলে প্রতিটি রাফায়েল যুদ্ধ বিমানের দাম ধার্য হয়েছিল ৫০০ কোটি টাকা, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় এসে ফ্রান্স সরকারের সঙ্গে যে চুক্তি করে সেখানে রাফায়েল যুদ্ধ বিমানের মূল্য বেড়ে দাড়ায় ১৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু সরকার রাফায়েল চুক্তিতে কোনও অনিয়ম হয়নি বলে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।